স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে হারাতে পারেন পুরুষত্ব!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

স্মার্টফোনের ব্যবহার এখন এতই বেশি যে আপনি হয়তো এই লেখাটিও পড়ছেন স্মার্টফোনের স্ক্রিনে! পুরো একটি দিন তো দূরে থাক, কয়েক ঘণ্টাও এখন স্মার্টফোন ছাড়া কল্পনা করা যায় না। উপকারী এই যন্ত্রটিই হতে পারে আপনার ক্ষতির কারণ! ভাবছেন, এত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র কীভাবে ক্ষতি করতে পারে? জেনে নিন-

মোবাইল রেডিয়েশনের ফলে মস্তিষ্কের ক্যান্সার, একাগ্রতা, চোখের সমস্যা, স্ট্রেস বৃদ্ধি, নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার, হার্টের ঝুঁকি, প্রজনন ক্ষমতা এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধকতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমস এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, মোবাইল রেডিয়েশনের কারণে মানুষ বধিরও হতে পারে এবং হারিয়ে যেতে পারে পৌরুষত্বও!

ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে:
মোবাইল ফোনে ৫০ মিনিটের বেশি কথোপকথনে আমাদের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব পড়ে। কিন্তু আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে কথা বলতে থাকি। তাই আমাদের উচিত হেডফোন ব্যবহার করা। এখন বাজারে ব্লুটুথ হেডফোনও চলে এসেছে। তবে এটি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই আপনি কথা বলার সময় তারযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করুন।

phone

রেডিয়েশন থেকে মুক্তি দিতে এমন কিছু সংস্থা রয়েছে যা অ্যান্টি-রেডিয়েশন কেস তৈরি করেছে। এই কেসগুলোর বাইরেটা সিন্থেটিক এবং ভিতরটা মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি। এই উপকরণগুলো আপনার ফোনকে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি রেডিয়েশনকে প্রতিরোধ করে।

phone

সাধারণত ব্যবহারের পর মোবাইল ফোন পকেটেই রাখা হয়। কিন্তু মোবাইল ব্যবহার না করলেও এর থেকে রেডিয়েশন বের হয়। সুতরাং মোবাইল ফোন পকেটে রাখা মোটেই নিরাপদ নয়। এই কারণে আপনি যখন ফোন ব্যবহার করছেন না, তখন উচিত হয় এটিকে ব্যাগে রাখা নয়তো হাতে রাখা।

phone

যেসব জায়গায় নেটওয়ার্ক সিগন্যাল কম পাচ্ছেন সেখানে মোবাইল কম ব্যবহার করাই উচিত। কারণ দুর্বল নেটওয়ার্কযুক্ত স্থানে আপনার ফোন নেটওয়ার্ক খোঁজার প্রাণপণ চেষ্টা করে। আর তখনই ফোন থেকে সবচেয়ে বেশি রেডিয়েশন বের হয়।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।