প্রতিদিন গোসল না করেও পরিচ্ছন্ন থাকার ৫ উপায়
শীতে গোসলেই যত অনীহা। গোসলের কথা মনে এলেও কাঁপুনি চলে আসে অনেকের। কেউ কেউ আবার গায়ে কোনোরকম দুই মগ পানি ঢেলেই বের হয়ে আসেন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বলছেন, নিয়মিত গোসল না করাই ভালো!
মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন গোসল করাটা অনেকটাই একটা সামাজিক রীতি বা অভ্যাস। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, প্রতিদিন গোসলের অভ্যাস আসলে শরীর পরিচ্ছন্ন রাখা। তাই গোসল না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখার আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে। জেনে নিন এমন পাঁচটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে গোসল না করেও শরীর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব-
শীত আটকাতে আমরা বেশিরভাগই একটু আঁটসাট পোশাক পরি। কিন্তু শীতকালে কখনোই আঁটসাঁট পোশাক পরা উচিত নয়। আঁটসাঁট পোশাক পরলে শরীরে ঘাম বা দুর্গন্ধ হয় বেশি। তাই শীতকালে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। এতে করে ঘাম হবে না, দুর্গন্ধও জমবে না।
শরীরের মতো চুলের ক্ষেত্রেও দরকার পরিচ্ছন্নতা। অনেকেরই চুল দু-একদিন না ধুলেই চিটচিটে হয়ে যায়। ফলে চুলে দুর্গন্ধও হয়। শীতে প্রতিদিন চুল না ভেজালেও ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করার পর ভালো করে মাথা আঁচড়ে নিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন অন্তত ৫-৬ বার চুলে ব্রাশ করুন।
কাজের চাপে বাড়ি ফিরতে গভীর রাত। এদিকে রাতে গোসল না করে যে সকালে গোসল করবেন, তারও উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ঘুমানোর আগেই গায়ে বডি স্প্রে বা পারফিউম মেখে নিন আর সকালে ঘুম থেকে উঠে আরেকবার। শরীরে কোনো দুর্গন্ধ হবে না।
শীতে নিয়মিত গোসল করুন বা না করুন, সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। কারণ, সারাদিন জুতা পরে থাকার কারণে পায়ে প্রচুর জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়া থেকে যায়। তাই পায়ের তলা, আঙ্গুলের খাঁজগুলো ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পাশাপাশি জুতা পরার সময় সম্ভব হলে পায়ে ও জুতার ভেতরে সামান্য পাউডার ছিটিয়ে বা পারফিউম স্প্রে করে নিন।
পারফিউমের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে তা সঠিক উপায়ে মাখুন। পারফিউম দিন শরীরের ‘পালস পয়েন্ট’-এ। যেমন, ঘাড়ে, কবজি বা কনুইয়ের ভেতরের দিকে। পারফিউম স্প্রে করে ঘষবেন না। চেষ্টা করুন শরীরের একটু দূর থকে স্প্রে করে আলতো করে আঙুলের ডগা দিয়ে শরীরে মেখে নিতে।
এইচএন/জেআইএম