এই ৬ অভ্যাস আপনার চুল পড়ার জন্য দায়ী

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

চুল কম-বেশি পড়বেই। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু হঠাৎ করে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেল তা দুশ্চিন্তার বিষয়। চুলের সঙ্গে নিশ্চয়ই আপনার শত্রুতা নেই, তাই সে কোনো কারণ ছাড়াই ঝরে পড়বে না। হঠাৎ অতিরিক্ত চুল পড়ছে এর মানে হলো, নিশ্চয়ই আপনার কোনো অভ্যাস এর জন্য দায়ী। জেনে নিন কী কারণে চুল পড়তে পারে-

Chul-1

অতিরিক্ত ড্রাই শ্যাম্পু: অনেকে চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে শ্যাম্পু নির্বাচনে বাছ-বিচার করেন না। হাতের কাছে যে শ্যাম্পু পান, তাই দিয়েই চুল ধুয়ে ফেলেন। অনেক সময় দেখা যায় ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যবহারের কারণে তা আপনার স্ক্যাল্পে স্বাভাবিক তৈলাক্তভাবে নষ্ট করে দেয়। ফলে শুষ্ক হয়ে যায় চুলের গোড়া এবং বাড়ে চুল পড়া।

ভেজা চুল: চুল ভেজা অবস্থায় অনেক নরম থাকে। তখন চুলে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালে বা খসখসে কিছু দিয়ে মুছলে খুব সহজেই চুল ভেঙে যায় বা ঝরে যায়। তাই গোসলের পরে চুল ঝাড়া, আঁচড়ানো বা ঘষে ঘষে মোছা বন্ধ করুন।

Chul-2

ভিটামিন বি ১২-এর অভাব: ভিটামিন বি ১২ আমাদের নতুন হেয়ার সেল তৈরি করতে সাহায্য করে। এই ভিটামিনের অভাব শরীরে দেখা গেলে বাড়ে চুল পড়ার সমস্যা। প্রাণিজ প্রোটিন থেকেই ভিটামিন বি ১২ বেশি পাওয়া যায়।

আয়রনের অভাব: শরীরে আয়রনের অভাবেও বাড়ে চুল পড়া। প্রতিদিন আয়রন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খান। ডুমুর, থোঁড়, এঁচড়, মোচা, পালং শাক, সবুজ শাক সবজি, কলা জাতীয় খাবার খান। আমন্ডেও রয়েছে আয়রন।

Chul-3

চুলে অতিরিক্ত হিট: হেয়ার স্টাইলিং করতে গিয়ে অনেকে চুলে অতিরিক্ত হিট দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা প্রতিদিন অফিস যাওয়ার সময়েও অনেকে ব্লো ড্রাইয়িং, আয়রনিং, কার্লিং করে থাকেন। দেখতে সুন্দর লাগলেও, প্রতিদিন এই অত্যধিক তাপের কারণে নষ্ট হয়ে যায় চুলের স্বাস্থ্য। চুল হয়ে পড়ে ভঙ্গুর।

নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করা: প্রতিদিন রাস্তাঘাটে চুলে যে পরিমাণ ধুলো লাগে তা যদি নিয়মিত ধুয়ে না ফেলা হয় তাহলে ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে চুলের স্বাস্থ্য। চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত মাথা ভিজিয়ে গোসল করুন।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।