চায়ে চিনি খেলে হতে পারে মৃত্যু, বলছে গবেষণা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

অবসরে, আড্ডায়, ক্লান্তিতে, কাজের চাপে- এককাপ চা বা কফি খেয়ে থাকেন অনায়াসেই। আর এই চা-কফি খাওয়ার মানেই হলো অন্তত এক চামচ হলেও চিনি বেশি খাওয়া। এভাবে প্রতিদিন বেশ কয়েক চামচ চিনি চলে যায় আপনার পেটে।

চা বা কফিতে সমস্যা নেই। সমস্যা হলো এই চিনি নিয়ে। মেডিক্যাল হাইপোথিসিস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে- চিনি শুধু ওজন কিংবা পেটের মেদই নয়, ডেকে আনে বিষণ্ণতাকেও। ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাসের গবেষকেরা চিনি গ্রহণের পরে মানুষের শারীরবৃত্তীয় ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য জানিয়েছেন।

rain

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ হতে পারে জীবনের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা খাবারে অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় পানীয় বেশি খায় তাদেরই হৃদরোগ, ডায়াবেটিস টাইপ২, উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি বা স্থূল দেহ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকেও বিঘ্ন ঘটায়।

rain

অনেকে চিনির পরিবর্তে আরটিফিসিয়াল সুইটনার গ্রহণ করে থাকেন যা স্বাস্থ্যের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর। তাই চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার কম বা না খাওয়াই ভালো ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

গবেষকেরা জানান, অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়, কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি ও হতে পারে আলঝেইমারের মতো রোগও।

rain

গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষ যদি দৈনিক চিনি থেকে ১৫০ ক্যালোরি গ্রহণ করে, তাহলে তার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১.১ শতাংশ। আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশনের মতে, চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে সরাসরি সম্পৃক্ত। হার্ট এটাকের সাথে ডায়াবেটিসের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। ৬৫% হার্ট এটাকের সাথে টাইপ-২ ডায়াবেটিস সরাসরি সম্পৃক্ত।

jagonews24

অতিরিক্ত চিনি গ্রহণে দেখা দেয় অ্যালকোহলের মতো নেতিবাচক প্রভাব। এছাড়াও চিনি আমাদের শরীরে ড্রাগের মতো কাজ করে। মিষ্টি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর মন ভালো থাকে, কিন্তু তারপর মস্তিষ্ক বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। তাই এই মিষ্টি স্বাদের সাদা বিষকে খাবার তালিকা থেকে দূরে রাখুন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।