অফিসে দেরি হলে কাজে মনযোগ কমে, বলছে গবেষণা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

অনেক তাড়াহুড়োর পরেও প্রায় প্রতিদিনই অফিসে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়? এ নিয়ে বসের তিরষ্কারও শুনতে হয় নিশ্চয়ই? আর এর পাশাপাশি নিজের মনের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র বিতৃষ্ণা? অল্পতেই হয়ে যান বিরক্ত? আসলে আপনার মতো এমন অসংখ্য চাকুরিজীবী রয়েছেন যারা অফিসে দেরি হওয়া নিয়ে নিজের উপর নিজেই বিরক্ত থাকেন। এমনকী অফিসে পৌঁছানোর পর কাজগুলোও অসহ্য লাগতে শুরু করে।

Office-1

শহুরে জীবনে যানজট নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার জ্যাম পেরিয়ে অফিস পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অসম্ভব ক্লান্তিকর। সম্প্রতি একটি জরিপে বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন, যতটা সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।

সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছনোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, 'প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক স্ট্রেস বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে।

Office-2

বলা হচ্ছে, ২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে ফেললে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেয়ার মতো প্রভাব ফেলে। এর ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করেন না কর্মী।

হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ৬টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মত, পৌঁছতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করা বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার চাইতে।

Office-3

মূলত, অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার 'চরিত্র' পরিবর্তন করতে হয়। তবে অনেক বেশি সময় ট্রাভেল করলে সমস্ত শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছাটাই মরে যায়।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।