গর্ভাবস্থায় যে ৭ খাবার নিরাপদ

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

একটি শিশু মায়ের গর্ভে আসার পর থেকেই শুরু হয় মায়ের দায়িত্ব। অনাগত সন্তান ও নিজের সুস্থতার জন্য সবরকম সচেতনতা থাকতে হবে। নিরাপদ ও সঠিক খাবার খাওয়া এই সচেতনতারই অংশ।

সঠিক খাবার বা পুষ্টিগুণ না পেলে মায়ের পাশাপাশি শিশুর বিকাশে সমস্যা দেখা যায়। তাই অবশ্যই জেনে রাখা দরকার কী কী খাওয়া উচিত এই সময়। অনেকেই না বুঝে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে শরীর ঠিক রাখতে চান। চলুন জেনে নেয়া যাক হবু মায়ের জন্য নিরাপদ এমন সাত ধরনের খাবারের কথা-

Khabar

দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবারে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। যা শরীরের গঠনে সাহায্য করে। এর সাথে থাকে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম। দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে সব থেকে বেশি ভালো দই। এই দই হজম ক্ষমতা ঠিক রাখে। সাথে প্রবায়োটিক থাকার জন্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।

Khabar

ফাইবার: প্রোটিন সমৃদ্ধ যেকোনো ধরনের ডাল খাওয়া এই সময় একান্ত দরকার। সাথে মটরশুটি, সয়াবিন খেতে হবে কারণ এতে আয়রনের সাথে অন্যান্য দরকারি ভিটামিন ও উপাদান থাকে। সিম জাতীয় খাবার বেছে নেওয়া যেতে পারে। এদের অনেকের মধ্যেই ভিটামিন এ থাকে যা শরীরের বিকাশে এবং গঠনে সাহায্যকারী। এতে জন্মের পর অনেক সময় বাচ্চা কম ওজনের হওয়া থেকে মুক্তি পায়।

Khabar

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে প্রচুর বেটা ক্যারোটিন থাকে যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি হয়। ভিটামিন এ শরীরের কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ভিটামিন এ খাওয়া জন্যে অবশ্যই উদ্ভিজ উৎস বেছে নেওয়া ভালো।

Khabar

ডিম, সামুদ্রিক মাছ, মাংস: সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শরীরের জন্যে দরকারি। এটি মস্তিষ্ক এবং চোখের উপকারে লাগে। তবে সপ্তাহে দুদিনের বেশি খাবেন না। এসময় ডিম খাওয়া প্রয়োজন। তবে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যে ডিম যেন সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়। চিকেন বা মিট এই সময় খাওয়া যেতে পারে। তবে পরিমিত।

Khabar

সবুজ শাক-সবজি: প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই সবুজ শাক সবজি রাখতে হবে। সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে থাকে। সাথে থাকে আয়রন, ফসফরাস, প্রাকৃতিক জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম। পাতাওয়ালা সবজি যেমন পুঁইশাক বা পালংশাক, ব্রকলি খাওয়া দরকার।

Khabar

ফল: ভিটামিনের প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে যেকোনো খাবারের মধ্যে ফল অন্যতম। লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। আপেলে আয়রন থাকে। শরীরের দরকার অনুযায়ী ফল খাওয়া একান্ত দরকার। অনেকে ড্রাই ফ্রুট পছন্দ করেন। তাও বেছে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে না যায়।

Khabar

পানি: পুষ্টিকর খাবার শুধু খেলেই হবে না। সেই পুষ্টিগুণ যাতে ঠিকভাবে হজম হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। চা বা কফি খেতে পারেন তবে পরিমাণ মেপে। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে গেলে মা এবং শিশু দুজনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।