পাকা চুল কাঁচা করবে মেথি
মেথিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় মিনারেল, যেমন, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি। মেথির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে নানা গুণ, যা আপনাকে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে চুলের অকালপক্কতা- নানা সমস্যা দূর করে সহজেই। চলুন জেনে নেয়া যাক-
ওজন কমায়: মেথিতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ফ্লেমেটরি উপাদান, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। মেথি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছে প্রশমিত করে এবং এর মধ্যে থাকা ফাইবার দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেথি শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে হজম ক্ষমতা বাড়ায়, যার ফলে শরীর থেকে বাড়তি ওজন কমতে সুবিধা হয়।
হজম শক্তি বাড়ায়: মেথির মধ্যে থাকা ফাইবার-সহ অন্যান্য উপাদান হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই একইভাবে সারারাত ভিজিয়ে রাখা মেথির পান যদি পান করা যায়, তাহলে হজমের সমস্যা দূরে থাকবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: প্রথমে ২ চামচ মেথি পানি ফুটিয়ে নিন। এবার পানি থেকে নিয়ে মেথি দানা মিহি করে বেটে নিন। এবার সেটি সকালে খালি পেটে খান। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই পথ্য খুবই কার্যকরী। মেথিতে থাকা পটাশিয়াম এবং ফাইবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করে
চুলের অকালপক্কতা দূর করে: চুলের অকালে পেকে যাওয়া রোধ করতে মেথি বিশেষভাবে কার্যকরী। চুলের হারিয়ে যাওয়া মেলানিন ফিরিয়ে এনে চুলকে কালো করতে সাহায্য করে।
এক চামচ মেথি পাউডার, এক চামচ আমলা পাউডার ও পরিমাণ মতো পানি নিন। এবার মেথি এবং আমলকীর গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে নিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এই পেস্ট ভালো করে সারা চুলে লাগিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা মতো রেখে ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করে এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
কোলেস্টরল কমায়: রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে মেথি। শুধু তাই নয় শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে মেথি। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার অপরিহার্য উপকরণ হলো মেথি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস মেথি ভেজানো পানি খান। উপকার পাবেন।
হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে: শরীর থেকে অ্যাসিডের খারাপ প্রভাবকে দূরে রেখে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে মেথি। তাই মেথির দানা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে উঠে খালি পেটে সেই পানি পান করুন। এতে করে আপনার হৃদযন্ত্র থাকবে সুস্থ ও সতেজ।
এইচএন/পিআর