চুল ভালো রাখতে আমলকির এই ব্যবহারগুলো জানতেন?
ছোট ছোট সবুজ রঙের ফল, দেখতে অনেকটা মার্বেলের মতো। রুচি ফেরানো থেকে হজমের গোলামাল সারানো- এর কার্যকারিতা অনেক। এই ফলটি অনেকগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। আর চুল সুন্দর রাখতে আমলকির ভূমিকাও রয়েছে বেশ। চুল পড়া কমানো থেকে শুরু করে খুশকি প্রতিরোধ পর্যন্ত নানা চুলের সমস্যায় দুর্দান্ত কাজ করে আমলকি এবং সেইসঙ্গে নিষ্প্রাণ চুলে আনে উজ্জ্বলতা।
আমলকির তেল: আমলা তেল মাথার তালু এবং চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুলের ফলিকল মজবুত হবে, চুল পড়াও কমে যাবে। নিয়মিত মাসাজে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভালো হয়, ফলে চুলের বাড়বৃদ্ধিও উন্নত হয়। আমলকির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে যা খুশকি আর চুলকানি থেকে স্ক্যাল্পকে রক্ষা করে। ব্যবহার করার আগে তেল সামান্য গরম করে নেয়া ভালো। সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করবেন।
আমলা হেয়ার টনিক: চুলের গোড়ায় টাটকা আমলকির রস লাগালে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় আর চুল বাড়েও চমৎকার। মিনিট পাঁচেক চুলের গোড়ায় এই রস দিয়ে মালিশ করে ১০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করুন। তারপর ভালো কোনো মোলায়েম শ্যাম্পু আর হালকা গরম পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন।
আমলা হেয়ার ওয়াশ: অকালে চুল পেকে যাচ্ছে যাদের, তারা আমলকি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আমলকি একদিকে যেমন চুল ঘন কালো রাখে, তেমনি ম্যাড়মেড়ে শুকনো চুলে উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে পারে। কয়েকটি আমলকি টুকরো করে কেটে পানিতে দিয়ে ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে ঠান্ডা করে পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলের হবে নিবিড় কালো।
আমলকি আর দই: চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করুন আমলকি আর দইয়ের মাস্ক। দুই চা চামচ আমলা পাউডার নিয়ে তাতে সামান্য গরম পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এতে মেশান এক চা চামচ মধু আর দুই চা চামচ টক দই। ভালো করে সব উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে চুলে মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুয়ে ফেলুন।
এইচএন/জেআইএম