এক বছর পর্যন্ত ধনে পাতা সংরক্ষণের পদ্ধতি
রান্নার স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে ধনে পাতার ব্যবহার পরিচিত। ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি উপকারী খনিজ। এছাড়া ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন কে-র জোগান দেয় এই পাতা। শুধু তাই নয়, এই উদ্ভিদ অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিফাংগাল এবং যেকোনো চুলকানি ও চামড়ার জ্বলনে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।
ধনে পাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদরোগের ঝুকি কমে যায়। হজমে উপকারী, ধনেপাতা শরীর ঠান্ডা রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ধনে পাতা পেট ফাঁপা ও পাকস্থলির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের ক্ষয়রোধ করে ধনে পাতা। ধনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফসফরাস ও ক্লোরিন। তাই প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে ধনে পাতা দারুন ভূমিকা পালন করে। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে তাই ধনে পাতার উপকারিতা অনেক।
ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফেকসাস, ডিটক্সিফাইং উপাদান, ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রন গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে। হাড় মজবুত করতে ধনেপাতার গুন অপরিসীম। এটি হাড়কে মজবুত করে।
শীতকালে বাজারে প্রচুর ধনে পাতার দেখা মেলে। এসময় বেশ এটি বেশ সহজলভ্যও হয়। তাই চাইলে শীতের সময়ে ধনে পাতা কিনে সারা বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন। জেনে নিন এক বছর পর্যন্ত ধনে পাতা সংরক্ষণের উপায়:
পদ্ধতি ১: প্রথমে ধনেপাতার ডাটা থেকে পাতা বেছে নিন। পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পেপারের উপর বিছিয়ে দিন।
ঘণ্টাখানেক পর পানি টেনে পাতাগুলো ড্রাই হলে কিচেন টিস্যুতে নিয়ে চারপাশ আটকে জিপলক ব্যাগ বা পলিথিনে বা বাটিতে ভরে ফ্রিজে রাখুন। প্রয়োজন মতো বের করে ব্যবহার করুন।
পদ্ধতি ২:
প্রথমে ধনেপাতাগুলো ছুড়ি দিয়ে ছোটো ছোটো করে কেটে নিন। এবার বরফ জমানোর ট্রেতে অল্প অল্প করে ধনে পাতা ভরে তাতে সামান্য করে প্রতি কিউবে পানি দিয়ে দিন।
এবার এগুলো ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন এবং রান্নার সময় একটি করে কিউব বের করে রান্নায় দিয়ে দিন।
দেখবেন ধনেপাতাগুলাে একদম সতেজ রয়েছে।
এইচএন/জেআইএম