বসের মেজাজ খিটখিটে? জেনে নিন এর ভালো দিকগুলো

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯

বসদের মেজাজ একটু গম্ভীর হবে এটাই যেন নিয়ম। পদ আর পদবীরও তো একটি গাম্ভীর্য রয়েছে! কিন্তু আপনার বসের মেজাজ কি একটু বেশিই খিটখিটে? কথায় কথায় রেগে যান বা বকাঝকা করেন? আপনি পুরোটা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু তার মনমতো হচ্ছেই না? অন্যদের তুলনায় আপনার ক্ষেত্রে একটু বেশিই রাগ দেখাচ্ছেন? অন্যরা ছুটিছাটা পেলেও আপনার ক্ষেত্রেই তিনি বিরাগভাজন?

উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তবে একদমই মন খারাপ করবেন না। বরং ধৈর্য ধরুন। কারণ তা আপনার জন্য সুফল বয়ে আনবে। অফিসের পরিবেশ যদি আপনার জন্য তুলনামূলক প্রতিকূল হয়, তবে তাও আপনার জন্য সুসংবাদ।

Boss

প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে আপনার মানসিক ও কারিগরি দক্ষতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে চলেছে। বসের মেজাজ খিটখিটে হলেও তা মূলত আপনার উপকারই করছে। কারণ এতে করে আপনি আত্মনির্ভরশীল হতে শিখছেন। রয়েছে আরও কিছু সুবিধা-

কঠিন পরিস্থিতিতে চাপ সামলে কাজ করতে গিয়ে আপনি আরও ধৈর্যশীল হয়ে উঠছেন। এটি ভবিষ্যতে আপনাকে আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

Boss

বসের মেজাজ চরম মানে আপনার পক্ষে কথা বলারও কেউ নেই। নিজেকে একা আবিষ্কার করে আপনি নিজের প্রতিই নির্ভরশীল হতে শুরু করবেন। সেখান থেকে বাড়বে আত্মবিশ্বাসও।

একই কাজ বারবার করতে হচ্ছে? চূড়ান্ত করার আগে কয়েকবার প্রাকটিস করার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে? এতে কিন্তু আপনার কাজের দক্ষতাই বাড়ছে।

Boss

অফিসে চাপের মুখে কাজ করতে গিয়ে নিজের দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন। এতে করে আপনার সুযোগ রয়েছে সেই বিষয়গুলোতে উন্নতি করা। পরবর্তীতে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করতে আপনিই পারবেন।

বসের কাছে যাতে বকা খেতে না হয় তাই সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার তাগাদা অনুভব করেন নিশ্চয়ই? এতে করে কিন্তু আপনার কাজের গতি বাড়ছে।

Boss

নানারকম চাপ সামলে কাজ করতে পারার কারণে আপনার ভেতরের ইতিবাচক দিকগুলো ফুটে ওঠে বেশি। ফলে পরবর্তীতে অন্য কোনো অফিসে কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় করবে না মোটেই।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।