প্রেমিক দিনদিন অসহ্য হয়ে উঠছে? যেভাবে বুঝবেন
প্রেম দুটি মানুষকে কাছাকাছি আনে। দুজনের ভালোলাগা-মন্দলাগা ভাগাভাগি করেই সম্পর্ক এগিয়ে যায়। একজন মানুষ কখনো পুরোপুরি আরেকজনের মনের মতো হয় না। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার অনেক স্বভাবই হয়তো আপনার ঠিক পছন্দ নয়। তবে তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়াই প্রেম। খেয়াল করে দেখুন, আপনারও এমন অনেক স্বভাবের যা তার কাছে অপছন্দের, তার সঙ্গে সে ঠিকই মানিয়ে নিচ্ছে!
তবুও কোনো কোনো সম্পর্কে যেকোনো একজনকে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে দেখা যায়। এমন স্বভাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেটির মধ্যেই দেখা যায়। শুধু নিজের মতামত ও পছন্দকে প্রাধান্য দিয়েই তারা সম্পর্ক গড়তে চায়। এটা পরলে কেন, ওখানে গেলে কেন, ওই খাবার খেলে কেন, ওর সঙ্গে কথা বললে কেন- এমন অসংখ্য কৈফিয়ত দিতে দিতে দিনশেষে প্রেমিকা বেচারি ক্লান্ত হয়ে যায়।
স্বেচ্ছাচারী স্বভাবের কারণেই একটা সময় প্রেমিককে আপনার অসহ্য লাগা শুরু হতে পারে। যদি এমনটা হয় তবে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে আরেকবার ভাবুন। সত্যিই আপনার প্রেমিক স্বেচ্ছাচারী কি না তা বুঝে নিন এই তিন উপায়ে-
১. স্বেচ্ছাচারী স্বভাবের হলে প্রেমিক আপনাকে কখনোই ব্যক্তিগত স্পেস দিতে রাজি থাকবে না। আপনার সবকিছুতেই নাক গলানো তার প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়াবে। আপনার মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখতেও সে দ্বিধা করবে না। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা, প্রেমের সম্পর্কে থাকলে দুজন মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকতে নেই। এটি ঠিক নয়। প্রত্যেক মানুষেরই একান্ত ব্যক্তিগত কিছু বিষয় রয়েছে।
২. স্বেচ্ছাচারী প্রেমিকেরা ভীষণ রকম স্বার্থপরও হয়। তারা অত্যন্ত অ্যাটেনশন সিকার হয়। অন্যদের সময় দেয়া যাবে না, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া কিংবা গল্প করা যাবে না, সব সময় সবটুকু মনযোগ তার দিকেই দিতে হবে- এমন অনেক অন্যায় দাবি তাদের বরাবরই থাকে। আপনার প্রেমিক মহাশয় এমনটা হলে এখনই সতর্ক হোন।
৩. সব সিদ্ধান্ত সে একাই নেবে, হোক তা আপনার কিংবা তার নিজের কোনো বিষয়ে, স্বেচ্ছাচারী প্রেমিকের স্বভাবই এমন। এমনকী দুজনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়েও সে একাই সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেমিকার জীবন, ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ সব ধরনের সিদ্ধান্ত সে একাই নেয়।
এমন একজন মানুষকে সঙ্গী করে জীবন কাটানো মোটামুটি অসম্ভব। কারণ আপনি যতই ছাড় দেবেন, ততই সে আপনাকে বাধ্যগত ধরে নেবে। এবং আর বেশি বেশি স্বেচ্ছাচারিতা চালাবে। এভাবে একদিন সে আপনার কাছে ভীষণ রকম অসহ্য হয়ে উঠবে। তাই আগেভাগেই সতর্ক থাকুন।
এইচএন/জেআইএম