অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কে যেসব অসুখ হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অরক্ষিত কোনোকিছুই সুফল বয়ে আনে না। সুস্থতার জন্য সবকিছুই সুরক্ষিত রাখা জরুরি। যেমনটা জরুরি শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে। যৌন সংসর্গজনিত অসুখবিসুখ নিয়ে মানুষ এখন অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। অস্বস্তি আর দ্বিধা কাটিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকের কাছেও। তবে সেই সংখ্যা খুব বেশি নয়।

অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে নানা ধরনের এসডিটি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ) বা এসটিআই (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন) হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে খুব কমন কতগুলো সমস্যা আছে- সেগুলি আপাতভাবে খুব ছোট মনে হলেও পরবর্তীকালে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক-

Osukh-4.jpg

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস: মহিলাদের মধ্যে যে এসটিডি বা এসটিআইগুলো দেখা যায়, তার মধ্যে এইচপিভি সবচেয়ে কমন। এইচপিভি কিন্তু সারভাইকাল ক্যানসারেরও অন্যতম কারণ। আজকাল এর টীকা বেরিয়েছে এবং কম বয়সেই তা নিয়ে রাখা যায় সুরক্ষাকবচ হিসেবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার শরীর নিজের থেকেই এইচপিভি প্রতিরোধ করে দেয়, তা সম্ভব না হলে কিন্তু জেনিটাল ওয়ার্টস হতে পারে। মুখ আর গলাতেও সংক্রমণ হয় অনেক সময়।

Osukh-4.jpg

ক্ল্যামাইডিয়া: এটিও খুব কমন এসটিডি। সাধারণত প্রস্রাব করার সময় জ্বালাভাব আর ভ্যাজাইনা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষরণ হয় ক্ল্যামাইডিয়া হলে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে এমনটা হতে পারে, অ্যান্টিবায়োটিক দিলে সেরে যায়। তবে দম্পতিদের দু’জনকেই একসঙ্গে ওষুধের কোর্স কমপ্লিট করতে হবে। মাস তিনেক বাদে আরও একবার পরীক্ষা করে তবে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সংক্রমণ পুরোপুরি কেটেছে।

Osukh-4.jpg

জেনিটাল হারপিস: হারপিস ভাইরাস আক্রমণ করলে ভ্যাজাইনার আশপাশে সাধারণত যন্ত্রণাদায়ক ছোট ছোট ফোসকা দেখা যায়। খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ভাইরাল সংক্রমণ, তাই নিয়ন্ত্রণের কোনও রাস্তা নেই। তবে ব্যথা বা জ্বালা কমানোর ওষুধ খেয়ে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Osukh-3.jpg

সমস্যা বোঝার উপায়: প্রস্রাবে জ্বালাভাব ও ভ্যাজাইনা থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণের কথা আগেই বলা হয়েছে। সাধারণত কোনো যৌন সংক্রমণ হলে ইন্টারকোর্সের সময় ব্যথা অনুভব করবেন। তা ছাড়া যৌনাঙ্গে ফুসকুড়ি, ব্যথা বা ক্ষত হলেও সতর্ক হওয়া উচিত। অস্বাভাবিক রক্তপাত, ভ্যাজাইনায় চুলকানি, ইস্ট ইনফেকশন, কন্ডোমে অ্যালার্জিও হতে পারে। এর কোনো একটি লক্ষণ থাকলেই ডাক্তার দেখানো উচিত।

প্রতিরোধের উপায়: যৌন সংক্রমণ ঠেকানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে সতর্কতা। অরক্ষিত সংসর্গ থেকে দূরে থাকুন। এক্ষেত্রে কন্ডোম আপনাকে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা জোগাবে। তাই যারা নিয়মিত বার্থ কন্ট্রোল পিল খান বা কপার টি ব্যবহার করেন, তারাও কন্ডোম ইউজ করুন।

ফেমিনা/এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।