ব্রেকআপের কষ্ট কে আগে ভোলে?
প্রেমের মতোই সত্যি একটি বিষয় হলো বিচ্ছেদ বা ব্রেকআপ। দুজন মানুষের পরস্পরের ভালোলাগা, আকর্ষণ থেকে আসে প্রেম। আবার সেই প্রেমেরই অভাববোধ হতে শুরু করলে একটা সময় তা আর টিকিয়ে রাখার মানে থাকে না। প্রেমের শেষ মানেই ব্রেকআপ।
যে মানুষটা আপনার প্রতিদিনের রুটিনের অনেকখানি জুড়ে ছিল, প্রায় প্রত্যেকটা কাজেই যার মতামত, ভালোলাগাকে গুরুত্ব দেয়া হতো, মনের সব কথা যাকে খুলে না বললে চলতোই না, সেই মানুষটার সঙ্গে আর কথা হবে না, দেখা হবে না- এমনটা মেনে নেয়া কষ্টকর।
সবদিক মিলিয়ে সম্পর্কটা বয়ে নেয়া সম্ভব নয় বলেই ব্রেকআপ। তবু এই কষ্ট কষ্ট মানুষকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবাই এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। কারো ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে, কারো কম।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে নারী ও পুরুষের মধ্যে ব্রেকআপের কষ্ট বেশি কাবু করে ফেলে নারীকে। পুরুষরা কিন্তু ব্রেকআপ হলেও খুব একটা ভেঙে পড়েন না। তবে মেয়েরা আবার প্রেম হারানোর যন্ত্রণা ছেলেদের তুলনায় একটু তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে পারেন।
লন্ডনের বিংহামটন ইউনিভার্সিটি থেকে ৯৬টি দেশের ৫৭০৫ জন নারী-পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে।
সমীক্ষা বলছে যে প্রেম ভাঙলে মেয়েরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশি ভেঙে পড়েন। দেখা গিয়েছে ব্রেকআপের পরে মেয়েরা তাদের দুঃখের মাত্রা দিয়েছেন ৬.৮৪ এবং ছেলেরা দিয়েছেন ৬.৫৮। মেয়েরা তাদের শারীরিক যন্ত্রণার মাত্রা দিয়েছেন ৪.২১ এবং ছেলেরা ৩.৭৫।
মেয়েরা বেশি ভেঙে পড়লেও পুরনো সম্পর্ক থেকে তারাই আগে বেরিয়ে আসতে পারেন। প্রকাশ বেশি না করলে ছেলেরা কিন্তু সম্পর্ক ভাঙার দুঃখ বেশিদিন মনে বয়ে নিয়ে চলেন।
এইচএন/পিআর