বর্ষায় কাপড়ে স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ? জেনে নিন সমাধান

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৯

বর্ষার সৌন্দর্য নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। তবে এই সৌন্দর্যের পাশাপাশি পোহাতে হয় কিছু ভোগান্তিও। কাপড় শুকানো নিয়ে বিড়ম্বনা তার মধ্যে অন্যতম। ছাদে কিংবা উঠানে শুকাতে দিলেন, একটু পরেই ঝরঝর বৃষ্টি! কী আর করা, ঘরেই দড়ি টাঙিয়ে শুকানোর বন্দোবস্ত করা হয়।

কিন্তু এভাবে কাপড় শুকালেও দুর্গন্ধ থেকেই যায়। সাধারণত জীবাণু, ছত্রাক ইত্যাদি থেকে কাপড়ে আসে দুর্গন্ধ। রোদে শুকানো হলে সূর্যের তাপে এই জীবাণু আসতে পারে না। কিন্তু এসময় রোদের দেখা সবদিন পাওয়া যায় না। তাই জেনে নিন কাপড়ের স্যাঁতস্যাঁতে দুর্গন্ধ দূর করার উপায়-

জীবাণু ও ছত্রাক যাতে আপনার পোশাকে বাসা না বাঁধতে পারে, সেজন্য নজর দিন কাচার পদ্ধতির উপর। কাপড়ের কোনো অংশে কাদা লেগে থাকলে আগে সেই অংশটি ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Gondho-3

ঘামে ভেজা কাপড় কাচার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাচার পর কোনো জীবাণু-নাশক লোশন মেশানো পানিতে কাপড় ধুয়ে নিন।

বর্ষায় বাইরে বৃষ্টি পড়লে ঘরের মধ্য়ে কাপড় শুকাতে হয়। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন ফ্যানের নিচে শুকাতে দেওয়ার।

যে ঘরে কাপড় শুকাবেন, তার জানলা দরজা খোলা রাখুন। ঘরে যেন হাওয়া-বাতাস আসে। তবে, শোবার ঘরে কাপড় না শুকাতে দেবেন না। ভিজে কাপড়ের আর্দ্রতা বাড়াতে পারে সর্দি-কাশির সমস্যা।

আলমারিতে এক টানা অনেক দিন কাপড় রেখে দিলে ছত্রাক পড়তে পারে। তাই মাঝে মাঝে আলমারির কাপড় নাড়া-চাড়া করবেন। পারলে কিছুক্ষণ খুলে রাখবেন আলমারির দরজা।

Gondho-3

কাপড় জামা শুকিয়ে যাবার পরে ইস্ত্রি করে নিন। এতে কাপড় সমান হবে, জীবাণুও মরবে।

আপনার শখের কাপড়ে স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে ন্যাপথলিন। আলমারি, ওয়ার্ড্রোব, আলনার তাকে ন্যাপথলিন অবশ্যই রাখুন। গন্ধ দূর হবে।

অনেক সময় কাপড়ে গন্ধ হলে তাতে সুগন্ধি ব্যবহার করে পরেন অনেকে। কিন্তু কাপড় পরার সময়ে তাতে স্যাঁতস্যাঁতে দুর্গন্ধ এলে সেই কাপড় পরা ঠিক নয়। সুগন্ধি দিয়ে সেই দুর্গন্ধ ঢাকলেও জীবাণু মরবে না।

কাপড় বাইরে শুকাতে দিয়েছেন। হঠাৎ বৃষ্টিতে এসে ভিজে গেল কাপড়। সে ক্ষেত্রে ভেজা কাপড় একবার পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে তবেই আবার শুকিয়ে নিন।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।