কোন ভঙ্গিতে ঘুমানো বেশি ভালো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৯

আপনি কীভাবে ঘুমাতে পছন্দ করেন? অর্থাৎ শোওয়ার কোন ভঙ্গিটি আপনার কাছে আরামদায়ক মনে হয়? কেউ কাত হয়ে, কেউ চিৎ হয়ে, কেউবা আবার হাঁটুর কাছে মাথা গুঁজে ‘দ’- এর ভঙ্গিতে ঘুমাতে পছন্দ করেন। ঘুম আরামদায়ক হলে মন-মেজাজ ফুরফুরে থাকে, সহজে ক্লান্তি আসে না। আবার ভুল ভঙ্গিতে ঘুমালে তা আপনার ঘুমে সমস্যা করতে পারে। এমনকী ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে, বাড়তে পারে নাক ডাকা ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের অসুবিধাও। জেনে নিন কোন ভঙ্গিতে ঘুমানো বেশি ভালো-

ghum

পিঠ সোজা করে
যদিও এটি শোওয়ার একটি স্বাস্থ্যকর ভঙ্গি তবু খুব কম মানুষ এভাবে ঘুমায়। মাত্র ৭ শতাংশ এই পজিশনে শুতে অভ্যস্ত। যেহেতু ঘাড়, গলা, মাথা, পিঠ, মেরুদণ্ড সব সরলরেখায় থাকে তাই কোথাও বাড়তি কোনো চাপ পড়ে না ফলে ব্যথা বেদনার সমস্যাও থাকে না। তবে খেয়াল রাখবেন মাথা যেন একটু উঁচুতে থাকে এবং ভালো বালিশের সাপোর্ট পায়। তা না হলে কিন্তু অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা বদ হজমের সমস্যা হতে পারে। যাদের নাক ডাকে বা স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তাদের জন্য অবশ্য এই পজিশন খুব ভালো নয়।

ghum

পাশ ফিরে
পাশ ফিরে শোওয়াও একটি স্বাস্থ্যোকর উপায়। এভাবে ঘুমালে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় না, পিঠে বা ঘাড়ে ব্যথার সমস্যাও থাকে না। নাক ডাকে কম, স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগীদেরও সমস্যা হয় না। তবে একটা সমস্যা আছে এই পজিশনে শোওয়ার, আপনার মুখের একটা পাশ বালিশে ঘষা খেলে বলিরেখা পড়তে পারে। ১৫ শতাংশ মানুষ এই পজিশনে শুতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।

ghum

ফেটাল পজিশন
পাশ ফিরে হাঁটু ভাঁজ করে শুতে পছন্দ করেন অন্ততপক্ষে ৪১ শতাংশ মানুষ। তবে খুব বেঁকে-চুরে শুলে শ্বাস নিতে অসুবিধে হতে পারে। আর্থারাইটিস বা পিঠের ব্যথায় যারা ভোগেন, তারা এই পজিশনে ঘুমালে ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে দুই পায়ের ফাঁকে পাশবালিশ নিয়ে ঘুমালে ভালো করবেন।

ghum

উপুড় হয়ে
উপুড় হয়ে ঘুমালে পিঠে, ঘাড়ে ব্যথা বাড়তে পারে। মুখে পড়তে পারে বলিরেখা। প্রতিটি মাসল ও জয়েন্টে বাড়তি প্রেশার পড়বে, তাই স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব একটা ভালো নয় এই পজিশন। এক্ষেত্রে রাতে শ্বাস নিতে অসুবিধে হয় ও বারবার ঘুম ভাঙে।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।