জন্ডিস থেকে বাঁচতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ০২ জুন ২০১৯

গরম এলেই বেড়ে যায় হেপাটাইটিস এ- এর প্রভাব, যাকে আমরা জন্ডিস বলেই বেশি চিনি। তাই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাবধানে থাকা জরুরি, কারণ পানি বা খাবার থেকেই এই ধরনের সমস্যা ছড়াতে আরম্ভ করে। এক্ষেত্রে সব বয়সীদেরই কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

মনে রাখবেন, আপনার লিভার বা যকৃৎ যেকোনো খাদ্য ও পানীয়কেই প্রসেস করে। তার ফলেই শরীর এনার্জি পায়। সেইসঙ্গে টক্সিন ও ড্যামেজড রক্ত কোষ শরীরের বাইরে বের করে দেওয়ার কাজেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কোনো কারণে এই কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটলে শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়ে, সেটাকেই জন্ডিস বলা হয়। তাই জন্ডিস এড়াতে চাইলে লিভারের স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

প্রথমেই পানি ও অন্যান্য তরল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। অন্ততপক্ষে আট-দশ গ্লাস পানি খেতেই হবে। তবে সাবধান, পানি যেন বিশুদ্ধ হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তবেই পান করুন।

jaundice-2.jpg

যারা ফিল্টারড পানি পান করেন, তারা সময়মতো ফিল্টার বদলাবেন অবশ্যই।

হার্বাল চা, ডাবের পানিও খাওয়া যেতে পারে। বাড়ান ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ। তবে তা অতি অবশ্যই খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন আগে।

তেল-মশলাদার খাবার, ভাজাভুজি, রাস্তার খাবার যতই লোভনীয় লাগুক না কেন, অন্তত গরম না কমা পর্যন্ত সেসব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। চলবে না রাস্তার পাশের কাটা ফল আর শরবতও। গরম আর আর্দ্রতায় খাবার তাড়াতাড়ি পচতে আরম্ভ করে, দূষিতও হয়ে যায়।

jaundice-2.jpg

বাড়ির হালকা রান্নাই উত্তম, সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় রাখুন আম, পাকা পেঁপে, আনারসের মতো ফল। খুব ভালো ডাইজেস্টিভ এনজাইমের জোগান দেয় বাতাবি লেবুও।

খুব জটিল প্রোটিন থেকে দূরে থাকাই ভালো, তবে মাছ খাওয়া চলতে পারে। বেশি চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবারও খাবেন না, মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।