প্রেম গভীর, তাই বলে কি পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ০৮ মে ২০১৯

কদিন আগেও আবিরের ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করা ছিল না। কিন্তও হঠাৎই কী এমন হলো যে তার ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করতে হচ্ছে! এই নিয়ে তার স্ত্রী মুনার সঙ্গে রাতদিন খিটিমিটি, কথা কাটাকাটি। মুনার বক্তব্য, আবির আমার স্বামী তাই তার সবকিছুতেই নজরদারি করার অধিকার আমার আছে। এদিকে আবিরের কথা, আমরাতো এখন আর প্রেমিক-প্রেমিকা নই, স্বামী-স্ত্রী। আগে মুনার এই নজরদারির অভ্যাস মানিয়ে নেয়া গেলেও এখন আর সম্ভব না।

Phone

আবির আর মুনার মতোই এমন ছোটখাট বিষয় নিয়ে অশান্তিতে ভুগছেন অনেক দম্পতি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলেও যে তারা দুজন আলাদা ব্যক্তিত্ব এটা কম মানুষই মেনে নেয়। অনেক স্বামী কিংবা স্ত্রীই মনে করেন, সঙ্গীর সবকিছুতে নজরদারি করা তার অধিকার। আপনার ক্ষেত্রেও এমনটা হলে কী করবে-

সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী হলেও প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত একটা পরিসর রয়েছে। ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল -এগুলোর পাসওয়ার্ড অন্যের সঙ্গে শেয়ার না করাই ভালো। এমনকি এটিএমের পাসওয়ার্ডও খুব প্রয়োজন ছাড়া সঙ্গীকে বলবেন না। এতে নিজেদের মধ্যেই সম্পর্ক ভালো থাকে। ভবিষ্যতে অশান্তির আশঙ্কা কম থাকে।

Phone

এছাড়াও সম্পর্কে বিশ্বাস, ভরসা এবং শ্রদ্ধা বজায় থাকে। একে অপরের প্রতি সন্দেহপ্রবণতা কমবে। নইলে যদি একে অপরের পাসওয়ার্ড জানা থাকে তাহলে মাঝেমধ্যেই মনে হবে ফোন ঘেঁটে দেখি কী করছে, কার সঙ্গে চ্যাট করছে। এমনটাই বক্তব্য দিয়েছেন মনোবিদেরা।

যে কোনো সম্পর্কেই স্পেস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফোন নিয়ে চুলোচুলি করলে তৃতীয় পক্ষের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাদের মনে হবে নির্ঘাত কোনও লুকোচুরি রয়েছে।

Phone

সুতরাং নিজেদের সুসম্পর্ক বজায় রাখুন এবং একে অপরের প্রতি সম্মান রক্ষার্থেই পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে জানাবেন না।

এএ/এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।