পরকীয়ায় জড়িয়ে গেলে কী করবেন?
প্রেম আর বিয়ের মাঝে বিস্তর ফারাক। কারণ প্রেমের সম্পর্কে কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। যেখানে বিয়ে মানেই দায়িত্ব ও নানারকম প্রত্যাশার চাপ। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই আবেগের জায়গাটা ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে হতে শুরু করে। তখন আর সঙ্গীকে অনন্য বলে মনে হয় না। তার দোষত্রুটিগুলো বড় হয়ে চোখে ধরা পড়ে। বন্ধন আলগা হতে শুরু করলেই সেখানে প্রবেশ করতে পারে তৃতীয় পক্ষ।
আরও পড়ুন : প্রেমের সম্পর্কে যে ভুলগুলো করবেন না
অনেক নারী কিংবা পুরুষ তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শুধুই মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। তারা যে এখনও আকর্ষণীয়, নিজেদের কাছে সেটা প্রমাণের তাগিদই বড়ো হয়ে দাঁড়ায়। তবে প্রতারণার আরও কিছু কারণও রয়েছে। সম্পর্কে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আত্মবিশ্বাসের অভাব। সঙ্গীর কাছ থেকে প্রশংসাসূচক কিছু না শোনা আর আত্মবিশ্বাসের অভাব, এসব কারণেও তৃতীয় ব্যক্তির মধ্যে সুখ খোঁজেন।
বিয়ের সময় অনেকেরই মনে সঙ্গীর কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা থাকে। সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে হতাশা জন্মায় এবং তা থেকেই সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। শরীরী সম্পর্কে অতৃপ্তি থাকলে বা যৌনজীবন নেহাতই রুটিনে পর্যবসিত হলে সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটা খুব স্বাভাবিক।
সম্পর্ক বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে দুজনকেই-
সম্পর্কে অতৃপ্তি তৈরি হলে তা শুধরোনোর প্রথম উপায় হলো কোনো লুকোছাপা না করে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা, নিজের আকাঙ্ক্ষাগুলোর কথা জানানো। খোলাখুলি কথা বলার বিকল্প নেই।
তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই অপরাধবোধে ভুগতে শুরু করেন। সঙ্গীকে সব কথা খুলে বলার মতো মানসিক জোরও থাকে না অনেকের। বিশেষজ্ঞেরা বলেন এ ক্ষেত্রে মন খারাপ করে না থেকে বিশ্বাসযোগ্য কোনো মানুষকে সবটা খুলে বলা ভালো।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন অন্যজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছেন আপনি। প্রতি পদক্ষেপে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার মনের মিল হবে, তা নাও হতে পারে। যে যে ব্যাপারে আপনাদের মিল রয়েছে সেই দিকগুলো খুঁজে বের করুন। পরস্পরকে ভরসা জোগান, বন্ধু হয়ে উঠুন।
তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে, সেটা ভেবে দেখুন। নিজেকে বোঝান, এর ফলে শুধু দুটো সম্পর্কই নয়, দুটো পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাস্তবের মাটিতে পা রেখে সিদ্ধান্ত নিন।
আরও পড়ুন : প্রথম দেখায় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
তৃতীয় ব্যক্তির প্রতি শারীরিক আকর্ষণ বোধ করা অস্বাভাবিক নয়। এর জন্য নিজেকে অকারণ শাস্তি দেবেন না। নিজেকে ক্ষমা করতে না পারলে বাকি জীবনটা সুস্থভাবে বাঁচা কঠিন হয়ে যাবে। অতীতকে ভুলে যান, বর্তমানকে সুন্দর করে তোলার উপর জোর দিন।
এইচএন/পিআর