চুলের যত্নে আপেল
প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আর ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয় না, ছোটবেলা থেকে একথাটি নিশ্চয়ই অনেকবার শুনেছেন। আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি এই আপেলই পারে আপনার চুলও সুন্দর রাখতে। নিয়মিত যদি আপেলের হেয়ার মাস্ক লাগাতে পারেন চুলে, তাহলে চুলের পেছনে বাড়তি টাকা খরচ করে হেয়ার স্পা করানোরও দরকার পড়বে না। চলুন জেনে নেই আপেলের কিছু হেয়ারমাস্ক তৈরির উপায় ও ব্যবহার-
আরও পড়ুন: নিমিষেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়
দিনের বেশিরভাগ সময় যাদের বাইরে থাকতে হয়, তাদের মাথায় খুব সহজেই ধুলোময়লা জমে যায়। এমন হলে একটি আপেল মিহি করে কুরিয়ে নিন। তাতে দুই টেবিল চামচ ওটস দিন। ভালো করে মিশিয়ে মাথায় মেখে ফেলুন। এবার বৃত্তাকারে কিছুক্ষণ পুরো মাথা মাসাজ করতে হবে। মাসাজ হয়ে গেলে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শ্যাম্পু করার পরেও চুল নির্জীব লাগে অনেকেরই। ব্লেন্ডারে একটা আপেল আর পানি দিয়ে পাতলা করে থেঁতো করে নিন। তাতে দুই টেবিল চামচ মধু আর এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। চুলে আর স্ক্যাল্পে এই মিশ্রণটি ভালো করে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
চুল অতিরিক্ত রুক্ষ, শুকনো হয়ে ভেঙে ঝরে যাচ্ছে? একটা আপেলের খোসা ছাড়িয়ে বীজ বের করে দিন। এবার ব্লেন্ডারে দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড আপেলে একটা ডিমের কুসুম আর এক টেবিল চামচ মেয়োনিজ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি সারা চুলে ভালো করে মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগান।
আরও পড়ুন: হেয়ার ডিটক্স করবেন যেভাবে
খুশকির সমস্যা থাকলে একটি আপেল থেঁতো করে রসটা বের করে নিন, এতে এক কাপ হালকা গরম পানি মেশান। শ্যাম্পু করার পর এই পানিটুকু আস্তে আস্তে মাথায় ঢেলে মাসাজ করতে থাকুন। পাঁচ-দশ মিনিট রেখে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে চুল ধুয়ে নিন। এরপর আলাদা করে কন্ডিশনার ব্যবহার করার দরকার নেই। তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে চার থেকে পাঁচফোঁটা নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল চুলের নিচের অংশে মেখে নিন। খুশকি তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে চুল নরম আর সুন্দর থাকবে।
এইচএন/এমকেএইচ