সারাদিন ক্লান্তিহীন থাকতে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

অফিস এবং বাসা মিলিয়ে নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় আমাদের। আর সারাদিনের এত কাজের ভিড়ে ক্লান্তি আসতেই পারে। কিন্তু কাজ ফাঁকি দিয়ে বসে থাকলেও তো চলবে না। তাই খুঁজে নিতে হবে সারাদিন ক্লান্তিহীন থাকার উপায়। ঘুম থেকে ওঠার সময় যত দেরি হয়, সূর্যের আলোও কড়া হতে থাকে। শরীরের ত্বক ও মস্তিষ্ক কড়া আলোয় খানিক নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই একটু ভোর ভোর ওঠা শরীর ও মন, উভয়ের জন্যই ভালো। তবে একান্তই ভোরে না উঠতে পারলে, ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃকৃত্যের পরই এমন কিছু কাজ সেরে ফেলতে পারেন, যা আপনার সারা দিনের কাজের গতিকে সচল রাখবে, ভুলের মাত্রা কমাবে ও আপনাকে কার্যক্ষম করে রাখবে সারাটা দিনই।

সহজে ক্লান্তি এড়াতে তাই কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করুন দিনের শুরুতেই-

সকালে উঠেই মোবাইলে সোশ্যাল সাইট, অফিস মেইল, হোয়াটস অ্যাপে অফিস গ্রুপ সবকিছুর নোটিফিকেশন দেখার কাজ সারতে শুরু করেন অনেকেই। এতে কাজের চাপ চলে আসে দিনের শুরুতেই। আর এই অভ্যাসই দিনের পর দিন ক্লান্তি বাড়াচ্ছে, অবসাদ ডেকে আনছে।

সকাল সকাল অফিস আসার তাড়া থাকলে একটু ভোরের দিকে উঠুন। প্রয়োজনীয় জৈবিক কাজ সারার পর আধ ঘণ্টা সময় হাতে রাখুন। শরীরচর্চা সারুন আগে।

Klanti-2

এরপর বরং সারা দিনের কাজে কী কী আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তার একটা তালিকা করে নিন। তালিকায় উপরের দিকে রাখুন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের নাম। তালিকা শেষ করুন সবচেয়ে কম গুরুত্বের কাজ দিয়ে। এই সময় যতটা পারেন একা ও নিঃশব্দে থাকার চেষ্টা করুন।

দেখে নিন আগের দিনের কোনো কাজ বাকি থেকে গিয়েছে কি না। তা আজ শেষ করতে পারলে সেরে নেয়ার পরিকল্পনা করুন।

ফোনের সব ক’টি নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার পর খুলুন নোটিফিকেশন। তার পরেই দেখুন অফিসের মেইল।

কোনো কারণে অফিসের প্রয়োজনে ভোরেই মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হলে সেই কাজটুকু সেরেই সরে আসুন মোবাইল থেকে।

সারাদিনের কাজকে আরও সুন্দর, নির্ভুল করে তুলতে ও দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কার্যক্ষম থাকতে সকাল থেকে মোবাইলের হাতছানি এড়িয়ে আজ থেকেই অভ্যাস করুন এই সব কৌশল।

এইচএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।