আপনার প্রেমিক কি মিথ্যাবাদী? পাঁচ উপায়ে বুঝে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৮

সম্পর্কে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো বিশ্বাস। এই বিশ্বাস অর্জন করা যায় সত্যি বলার মাধ্যমে। মিথ্যা বলা বা বানিয়ে বলা গল্পে আপনার সঙ্গীটি সাময়িক সন্তুষ্ট হতে পারে তবে পরবর্তীতে এর প্রভাব নেতিবাচকই হবে। আবার অযথা সন্দেহ করে সঙ্গীকে মিথ্যাবাদী বানাতে যাবেন না যেন! আগে জেনে নিন সত্যিই কি সে মিথ্যা বলছে? কিন্তু কিভাবে বুঝবেন, রইলো টিপস-

১. যারা মিথ্যা বলতে পটু তাদের চট করে ধরা সম্ভব হয় না। কারণ তারা তাদের মিথ্যা বলার ক্ষেত্র সবসময় তৈরিই রাখেন। হাজারটা যুক্তি, ব্যাখ্যাও নিজেদের মতো তৈরি করে রাখেন। তাই এই যুক্তিজালে পা জড়াবেন না। আপনার যদি সন্দেহ হয়, তা হলে পরপর প্রশ্ন করতে থাকুন। চেষ্টা করুন একের পর এক প্রশ্নবাণে তাকে বিধ্বস্ত করে দিতে। বানানো ছক ভেঙে দিতে পারলেই তার লুকোনো দুর্বলতাগুলো ধরে ফেলতে পারবেন।

jagonews

২. যারা মিথ্যা কথা বলেন তারা পরিস্থিতিটাকে অহেতুক নাটকীয় করে তুলতে চান। হাত পা নেড়ে, নানারকম মুখভঙ্গি করে ব্যাপারটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে চান। খেয়াল করে দেখুন আপনার সঙ্গীটি সামান্যকিছুতেই নাটকীয় আচরণ করছেন কি না!

৩. যারা মিথ্যা বলেন, তারা বেশিরভাগ সময়ই বানিয়ে বলেন। এমনকি অপ্রয়োজনেও বানিয়ে কথা বলেন। আর এত বানিয়ে বানিয়ে বললে সবকিছু মনে রাখা সম্ভবও নয়। তাই আগে তিনি আপনাকে কী বলেছিলেন পরবর্তীতে তা তার মনে থাকবে না। আপনি বরং মনে রাখুন, আগেরবার তিনি আপনাকে কোন কথাগুলো বলেছিলেন। একটু সচেতন থাকলেই দুইবারের কথার মধ্যকার অসঙ্গতিগুলো বুঝতে পারবেন।

৪. যদি মনে হয় আপনার প্রেমিক আপনার কাছে সবকিছু সত্যি বলছেন না, তা হলে সরাসরি এ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। উনি যদি কথা বলতে না চান বা প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে একরকম নিশ্চিত হতে পারেন উনি সত্যিই কিছু গোপন করছেন বা অসত্য বলছেন। উনি রেগে যেতে পারেন বা অসুস্থ হওয়ার ভানও করতে পারেন। আপনি নিজে বিক্ষিপ্ত হবেন না, প্রসঙ্গে থাকুন।

jagonews

৫. সম্ভব হলে তার কাছের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। শুধু তাকেই অন্ধবিশ্বাস করতে যাবেন না যেন। বরং তার আপনজনদের কাছ থেকে নতুন কোনো তথ্য পেলেও পেতে পারেন, যা কি না তিনি আপনার কাছ থেকে লুকিয়েছেন!

এইচএন/আরআইপি

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।