হেডফোন যেভাবে ব্যবহার করলে কানের ক্ষতি হবে না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কাউকে বিরক্ত না করে নিজের মনে গান কিংবা অন্যকিছু শোনার জন্য হেডফোনের বিকল্প নেই নিঃসন্দেহে। কিন্তু এই হেডফোনেরই আছে ক্ষতিকর দিকও। সারাক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখলে ক্রমে শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। সারাক্ষণ হেডফোন ব্যবহারের ফলে অকালেই বধির হয়ে যেতে পারেন। তবে কিছু নিয়ম মেনে হেডফোন ব্যবহার করতে পারলে আর সমস্যা থাকবে না। আসুন জেনে নেয়া যাক-

হেডফোনে কখনোই সর্বোচ্চ ভলিয়্যুমে কোনোকিছু শুনবেন না। এতে কানের পর্দার খুব ক্ষতি হয়। হেডফোনের মাধ্যমে এই আওয়াজ সরাসরি কানে প্রবেশ করে। তাই এ বিষয়ে বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করুন।

বাইরে বেরিয়ে গান শুনতে হলে, তা শুনুন যানবাহনে যাত্রার সময় বা এক জায়গায় বসে। পথে-ঘাটে হাঁটা চলার সময় বা রাস্তা-লাইন পেরনোর সময় কখনোই হেডফোন ব্যবহার করবেন না। যানবাহনে যদি আপনি চালকের আসনে থাকেন, সেক্ষেত্রে কানে হেডফোন লাগাবেন না। এতে মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া আশেপাশের গাড়ির হর্নও আপনি শুনতে পাবেন না। এতে বিপদ হতে পারে।

Hadephone

একটানা আধ ঘণ্টার বেশি হেডফোন ব্যবহার করবেন না। মোবাইলে কোনো সিনেমা দেখতে হলে আধঘণ্টা অন্তর মিনিট খানেকের বিরতি নিন। অন্তত পাঁচ থকে দশ মিনিট বিশ্রাম দিন কানকে।

যে কোম্পানির মোবাইল ব্যবহার করছেন, ঠিক সেই কোম্পানির, সেই মডেলটির হেডফোনই ব্যবহার করুন। প্রতিটি কোম্পানি তাদের নির্দিষ্ট মডেলের জন্য নির্দিষ্ট হেডফোন তৈরি করে। আমাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে হেডফোন নষ্ট হলেই আমরা বাজারচলতি সস্তা হেডফোন কিনে নিই। এসব কানের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই হেডফোন খারাপ হলে ঠিক ওই মডেলেরই হেডফোন কিনে ব্যবহার করুন। কারণ, ফোন থেকে বেরনো রশ্মির তরঙ্গ, কম্পন ইত্যাদির উপর অঙ্ক কষেই হেডফোনের তরঙ্গ তার ক্ষমতা ইত্যাদি ঠিক করা হয়।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।