বেগুন খাবেন কেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বেগুন দিয়ে বানানো যেকোনো পদ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। সপ্তাহে একদিন করে যদি বেগুন খাওয়া যায়, তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকে না। কারণ এক্ষেত্রে একাধিক উপকার মেলে।

বেগুনে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড এবং আরও সব উপকারী উপাদান যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

নিয়মিত বেগুন খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেইসঙ্গে সংক্রমণও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

Begun-2

বেগুনে উপস্থিত ফাইবার যেকোনো ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।

বেগুনে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকার কারণে এই সবজিটি খাওয়া শুরু করলে স্কাল্পে পুষ্টির ঘাটতি দূর হতে শুরু করে। ফলে চুলের গোড়া এতটা শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এই সবজিটি খেলে শরীরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে ক্যান্সার সেলের জন্ম হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।ফাইবার মূলত কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেখানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষদের ক্ষত সারিয়ে সামগ্রিক ভাবে শরীরকে তরতাজা করে তোলে।

ওজন কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে বেগুন। বেগুনে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস কমতে শুরু করে। আর কম খেলে যে ওজনও কমে, সেকথা আর নতুন কী!

Begun-3

বেগুনে উপস্থিত ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ফ্লেবোনয়েড কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।

বেগুনে থাকা ফটোনিউট্রিয়েন্ট সেল মেমব্রেনকে নানাবিধ আঘাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মস্তিষ্কের নিউরো সেলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। আর এমনটা হওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ার এতটাই বৃদ্ধি পায় যে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধির ধার বাড়তে সময় লাগে না।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।