যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকে কিছু কিছু প্রিয় খাবার বাদ দিতে হয় খাবারের তালিকা থেকে। কিন্তু এমনকিছু খাবার আছে যা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য আর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। চেষ্টা করুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এই খাবারগুলোর অন্তত কোনো একটি রাখতে। চলুন জেনে নেই কী খেলে আর কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না-

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে মৌরি। ডায়জেস্টিভ ট্র্যাকের যে পেশি রয়েছে তার সঞ্চালন যাতে ঠিকমতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে মৌরি। ফলে বদ-হজম, পেট গোলানো, কনস্টিপেশনের মতো নানাবিধ রোগ একেবারে সেরে যায়। এক্ষেত্রে এককাপ মৌরি নিয়ে ভালো করে ভেজে ফেলতে হবে। তারপর ভাজা মৌরিগুলি গুঁড়া করে নিয়ে একটা শিশিতে সংরক্ষণ করবেন। প্রতিদিন এই গুঁড়া মৌরি হাফ চামচ করে গরম পানিতে গুলে খেলে নিমেষে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Khabar

তিসিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা পেট পরিষ্কার রাখতে নানাদিক থেকে সাহায্য করে। একগ্লাস পানিতে ১ চামচ তিসি বীজ গুলে অন্তত ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন। রাতে শুতে য়াওয়ার আগে পান করুন সেই পানি। সকালে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।

প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রাকৃতিক এই উপাদানটিতে এমন কিছু রয়েছে, যা জোলাপের মতো কাজ করে। ফলে মধু খাওয়া মাত্র পেট পরিষ্কার হতে শুরু করে দেয়। এক্ষেত্রে দিনে ৩ বার, এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে।

Khabar

প্রতিদিন পালংশাক খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তাই যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে হয় রান্না করে, নয়তো কাঁচা অবস্থাতেই পালংশাক খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন অল্প দিনেই কষ্ট কমে যাবে। আরেকভাবে পালংশাককে কাজে লাগানো যেতে পারে। একগ্লাস পানির সঙ্গে ১ গ্লাস পালংশাকের রস দিনে দুইবার করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনো নাম গন্ধই থাকে না। বাঁধাকপিও ঠিক একই কাজ করে।

আঙুরে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার, পেট পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দিনে আধ বাটি কাঁচা আঙুর অথবা আঙুরের রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেই দেখবেন সকালগুলো সুন্দর হয়ে উঠবে।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।