শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সহজ উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৮

শিশু খেতে চায় না- এই অভিযোগের পরে সবচেয়ে কমন অভিযোগ হলো, শিশু খেতে চায় না। প্রায় সব মা-বাবাই এমন অভিযোগ করে থাকেন। শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম নির্ভর করে তার অভ্যাসের ওপরে। আর এই অভ্যাস নির্ভর করে মা-বাবার ওপরেই। তাই জেনে নিন শিশুর ঘুমের জন্য আপনার করণীয়-

শিশুর ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন। নিজের যত কাজই থাকুক, শিশুর ঘুমের সেই সময়ের হেরফের করবেন না। তাতে শিশুর বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিক থাকে। কিছুদিন অভ্যাসের পর ওই নির্দিষ্ট সময় মেনেই তার ঘুম আসবে।

sisu

বেশিরভাগ অভিভাবকই শিশুকে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ দেন না। শিশুর শয়নকক্ষে চড়া আলো বা টিভি, সাউন্ড সিস্টেমের আওয়াজ তাদের ঘুমের দফারফা করে। তখন শিশুও না ঘুমিয়ে সেদিকে মন দিতে শুরু করে। তাই শিশুকে ঘুম পাড়ানোর আগে ঘরে তার ঘুমের পরিবেশ আনতে হবে।

রাতে খাওয়াদাওয়ার পর সন্তানকে ঘুম পাড়াতে গান বা গল্পের আশ্রয় নিন। গানের সুর, গল্পের গতি শিশুর মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস ও থ্যালামাসকে প্রভাবিত করে। যা তাকে শান্ত করে। গান বা গল্প শুনতে শুনতে তাই ঘুমিয়ে পড়া অনেক শিশুরই অভ্যাস।

sisu

সন্তানকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করবেন না। শিশুকেও ঘুমানোর আগে ফোনে হাত দিতে দেবেন না। অনেক বাবা-মা সন্তানকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোবাইলে গেম খেলতে দেন। এতে তার মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয় এবং ঘুম বাধা পায়।

ঘুমানোর সময় শিশুকে যদি তার হাতের কাছে প্রিয় কোনো খেলনা বা বস্তু দেন, তার সংস্পর্শে এসে শিশু অনেক তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে। মনোবিদদের মতে, শিশু ঘুমোনোর সময় পছন্দের বস্তু পেলে তার গন্ধে, স্পর্শে শিশুর মস্তিষ্কে চাপমুক্তির হরমোন ক্ষরণ করে, শিশু দ্রুত ঘুমায়।

sisu

শিশু একটু বড় হলে, তার সারা দিনের রুটিনে কিছুটা সময় শরীরচর্চার জন্য রাখুন। ডায়েট মেনে খাওয়া ও শরীরচর্চার মধ্যে থাকলে শরীরের সমস্যা দূরে থাকেকে, মানসিক চাপ কমে ও শিশু পর্যাপ্ত ঘুমায়। সাঁতার, জিমন্যাস্টিক বা দৌড়োদৌড়ি করে খেলা যায় এমন কিছু তার রুটিনে থাকলে সে অনেক সুস্থও থাকে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।