চিনির বদলে যা খেতে পারেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৮

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় চিনি তো রাখছেন, কিন্তু জানেন কি এর ক্ষতিকর দিক? বেশি চিনি খেলে হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা খুব প্রবল৷ শুধু যে খাবারে চিনি মেশালে বিপদ হয় এমন নয়, প্রক্রিয়াজাত খাবারও সমান বিপজ্জনক৷ কারণ তাতে অ্যাডেড সুগার থাকে, তা সে ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল হোক কি পাউরুটি, প্যাকেটের ফলের রস হোক কি বিয়ার, সস, কেচাপ, কুকিস, ক্যান্ডি, মেয়োনিজ ও অন্যান্য স্যালাড ড্রেসিং, ঠান্ডা পানীয়৷

হিসেব বলছে, একটি ১২ আউন্সের ঠান্ডা পানীয়তে থাকে ৯ চামচের মতো চিনি৷ এক স্কুপ চকলেট আইসক্রিমে ৫ চামচ৷ এর সঙ্গে চা-কফিতে বা রান্নায় চিনি মেশালে তো হয়েই গেল৷ অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে হৃদরোগের পাশাপাশি, ওবেসিটি, দাঁতের ক্ষয়, ডায়াবিটিস, এমনকি কিছু কিছু ক্যান্সারের প্রকোপও বাড়ে৷

Chini-2

চিনির বদলে যা খেতে পারেন:

চিনির বদলে খাবারে মেশান আখের গুড়, খেজুর গুড় বা ঝোলা গুড় কিংবা তাল পাটালি৷ ভিটামিন বি-৬, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম পাবে শরীর৷

গুড় ভালো না লাগলে আখের রস খেতে পারেন৷ ভিটামিন বি, সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজের জোগান পাবেন৷

নারিকেলের দুধ ফুটিয়ে শুকিয়ে নিলে নিচে পড়ে থাকে নারিকেল চিনি৷ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে অসাধারণ৷ সঙ্গে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম ইত্যাদিও এতে আছে পর্যাপ্ত৷

Chini-3

দুপুরে বা রাত্রে খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে, খান খেজুর৷ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-৬ পাবেন প্রচুর৷ কিসমিস বা অন্য শুকনো ফলও খেতে পারেন৷ খেতে পারেন বিভিন্ন টাটকা ফল৷

সাধারণ চিনির বদলে খেজুরের চিনি দিয়ে কেক বা পুডিং বানান৷ খেজুর বা তালের রস জ্বাল দিয়ে বানানো সিরাপও ব্যবহার করা যায়৷

পুডিং বা কাস্টার্ডে চিনির বদলে মেশান বিভিন্ন মিষ্টি ফল৷

Chini-4

গ্রিন টিতে মেশান টাটকা মধু৷ চা-কফিতে ম্যাপ্ল সিরাপ৷ ক্যালোরি চিনির মতো অত বেশি নয়৷ উপরি পাওয়া অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণাগুণ৷

কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপারটেম জাতীয় জিনিস ভুলেও খাবেন না৷ মিষ্টি না খেয়ে থাকতে না পারলে বরং মাঝেমধ্যে এক-আধ চামচ চিনিই খাবেন৷ না হলে বিপদ আরও বাড়বে৷

আনন্দবাজার/এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।