যেভাবে পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসবে না

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৮

অনেক দুঃখেও কান্না পায় না অথচ সামান্য পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখের জলে একাকার? পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে পানি আসে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু পেঁয়াজ তো কাটতেই হবে। চোখের পানি না ঝরিয়েই পেঁয়াজ কাটার উপায় চলুন জেনে নেই-

পেঁয়াজের গোড়ার অংশটি (অর্থাৎ যেখানে মূল থাকে) ভালো করে কেটে ফেলে দেওয়া। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের উপরের আস্তরটিও ফেলে দিন। কারণ বেশিরভাগ এনজাইম থাকে এই গোড়ায় ও ওপরের আস্তরণে।

পেঁয়াজ কুচি করতে চান? পেঁয়াজের শুকনো খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বেশ খানিকটা সময় পর পানি বদলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর কাটুন, চোখ জ্বলবে না। ঠান্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো হবে। পানিতে নিঃসৃত এনজাইম ধুয়ে যাবে, ফলে চোখ জ্বলবে না।

Peaj-2

পেঁয়াজের শুকনো খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে আধ ঘণ্টার মতো ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে টুকরো করুন বা কুচি করুন। ঠান্ডায় পেঁয়াজের এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, ফলে চোখ জ্বলার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

চপিং বোর্ডে ভিনেগার মাখিয়ে নিয়ে তারপর পেঁয়াজ কাটুন। ভিনেগারের অ্যাসিড এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে ঝাঁঝও বের হবে না, চোখও জ্বলবে না।

পেঁয়াজ কাটার সময়ে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারেন কাছে। এতে পেঁয়াজ থেকে নির্গত এনজাইমের ঝাঁঝ আপনার চোখের পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করার আগেই আগুনের শিখা তাকে আকর্ষণ করবে।

Peaj-3

ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার করুন পেঁয়াজ কাটার সময়ে। কেননা এতে কোষগুলো কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ফলে এনজাইম কম নিঃসৃত হবে আর চোখও জ্বলবে কম।

পেঁয়াজ কাটার সময় জোরে ফ্যান চালিয়ে নিন। এতে পেঁয়াজ থেকে নির্গত এনজাইমের ঝাঁঝ আপনার চোখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে না।

পেঁয়াজ লবণ-পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো, তারপর কাটুন। লবণ-পানি চোখ জ্বলার জন্য দায়ী এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।