নাক ডাকা বন্ধ করতে কী খাবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৮

রোজ রাতে আপনার নাক ডাকার কারণে বিরক্ত পাশের মানুষটি? আপনার নাক ডাকা শুধু যে অন্যের বিরক্তির কারণ এমন নয়, এটি আপনারও দুর্ভোগের কারণ হতে পারে। নাক ডাকার প্রবণতা থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ফলে আই কিউ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ঝাপসা হতে শুরু করে। নাকা ডাকার কারণে স্ট্রোক, হার্ট ডিজিজ, অ্যারিথমিয়া, জি ই আর ডি, ক্রনিক মাথা যন্ত্রণা এবং ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

নিয়মিত আদা চা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে ন্যাজাল ক্যাভিটি খুলতে শুরু করে। ফলে নাক ডাকার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

Nak-daka-2

নিয়মিত ১-২টি রসুনের কোয়া চিবিয়ে, এক গ্লাস পানি খেয়ে শুতে যেতে হবে। তাহলেই দেখবেন নাক ডাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

নাক ডাকার সমস্যা কমাতে ঘিয়ের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে

অল্প পরিমাণ ঘি গরম করে তার থেকে ২-৩ ড্রপ করে নিয়ে যদি নিয়মিত নাকে দেয়া যায়, তাহলে নাক ডাকা থামতে একেবারেই সময় লাগে না। ঘিয়ে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান নাকের ভেতরে বায়ু-চলাচলের পথকে খোলা রাখতে সাহায্য করে। ফলে নাক ডাকার প্রবণতা একেবারে কমে যায়।

ঘুমানোর আগে নিয়মিত এলাচ চা খেলে দারুণ উপকার মেলে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত একাধিক উপাকারী উপাদান নাকের ভিতরের বাঁধা সরিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

Nak-daka-3

ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে যদি এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে নাকা ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগই পাবে না। কারণ মধুতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান গলার প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তোলে।

অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে কমে নাক ডাকার প্রবণতাও। এক্ষেত্রে প্রতিদিন শুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করতে হবে। নাক ডাকা বন্ধ হবে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।