ফুসফুস ভালো রাখবে পালং শাক
সবুজ শাকের ভেতরে পালং শাকের চাহিদা বরাবরই বেশি। এটি রান্না করে, স্যুপ বানিয়ে, সালাদে কিংবা পাকোড়া বানিয়ে- অনেকভাবেই খাওয়া যায়। পালং শাকের রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। তাই নানারকম অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই সবুজ শাকটি।
আরও পড়ুন: ব্যথা কমাবে টক দই
প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রোটিন আছে ২.০ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট আছে ২.৮ গ্রাম, আঁশ আছে ০.৭ গ্রাম, আয়রন ১১.২ মি. গ্রাম, ফসফরাস আছে ২০.৩ মি. গ্রাম, অ্যাসিড (নিকোটিনিক) ০.৫ মি. গ্রাম, রিবোফ্লোবিন থাকে .০৮ মি. গ্রাম, অক্সালিক অ্যাসিড থাকে ৬৫২ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মি. গ্রাম, পটাশিয়াম ২০৮ মি. গ্রা, ভিটামিন-এ আছে ৯৩০০ আই. ইউ, ভিটামিন সি ২৭ মি. গ্রা, থায়ামিন আছে .০৩ মি. গ্রা।
পালং শাক শরীরের অন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্রের ভেতরে জমে থাকা মল সহজে বের করে দেয়। ডায়াবেটিস রোগীরা এই শাক পরিমাণমতো খেলে উপকার পান। এই শাকের বীজও খুব উপকারী।
পালং শাকের বীজের ঘন তেল কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায়। পালং শাকের কঁচি পাতা ফুসফুস, কণ্ঠনালীর সমস্যা, শরীর জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতেও ভালো কাজ দেয়। পালং শাক শরীর ঠান্ডা রাখে।
জণ্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পালং শাক বিশেষ উপকারী। এই শাককে বলা হয় রক্ত পরিষ্কারক খাদ্য। রক্ত বৃদ্ধিও করে।
আরও পড়ুন: ইফতারে বেলের শরবত খাবেন যে কারণে
পালং শাক চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং মুখের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। পোড়া ঘায়ে, ক্ষতস্থানে, ব্রণে বা কোথাও কালশিরা পড়লে টাটকা পালং পাতার রসের প্রলেপ লাগালে ভালোই উপকার পাওয়া যায়।
এইচএন/এমএস