চুল পড়া রোধ করবে কলা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ০৬ মার্চ ২০১৮

প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কলায় রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান নামক এক ধরনের প্রোটিন যা মানুষের ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং খুব কম পরিমাণে লবণ যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এছাড়াও কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি চুলের যত্নেও কলা সমান উপকারী।

চুল ভঙ্গুর হয়ে গেলে কিংবা চুল পড়া বেড়ে গেলে কলা ও অলিভ অয়েলের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাকা কলা এবং দুই টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এরপর পুরো মাথায় প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন এবং শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। অলিভ অয়েলের বদলে নারিকেল তেলও ব্যবহার করা যাবে। এই প্যাক ব্যবহারে চুল মজবুত হবে এবং মোলায়েম থাকবে।

খুশকি দূর করতে অর্ধেকটা পাকা কলা চটকে নিন। এর সাথে তিন টেবিল চামচ টক দই ও এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়া ও মাথার ত্বকে লাগান। পুরো চুলে লাগাবেন না। ২০-২৫ পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। টকদই চুলকে খুসকিমুক্ত এবং মসৃণ করতে সাহায্য করে।

দুটি চটকে নেয়া কলা, একটি ডিমের কুসুম ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাক ভালো করে মাথার ত্বকে ও চুলে মাখুন। একটি প্লাস্টিক দিয়ে মাথা মুড়ে ফেলুন। তাঁর ওপরে একটি তোয়ালে পেঁচিয়ে দিন। এভাবে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল লম্বাই করবে না, একই সাথে করে তুলবে নরম ও মোলায়েম।

একটি পাকা কলা পিষে তার সঙ্গে চার-পাঁচ টুকরা পাকা পেঁপের মিশ্রণ যোগ করুন। এরপর দুই চা চামচ মধু নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সম্পূর্ণ চুল ও মাথার ত্বকে মিশ্রণটি লাগান। সব চুল উঁচু করে পেঁচিয়ে নিন এবং একটি টুপির সাহায্যে চুল ঢেকে রাখুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই মাস্ক উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুল শক্তিশালী করে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।