শিশু যদি দেরিতে কথা বলে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ পিএম, ০৪ মার্চ ২০১৮

ছোট্ট শিশুর মুখের আদো আদো বুলি কার না ভালো লাগে! কিন্তু দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনই যখন শিশুটি কথা বলতে দেরি করে। সদ্য কথা বলা শিশুর মধ্যে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ যোগাযোগের ভাষা ব্যবহারে সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত ছেলে শিশুদের তুলনায় মেয়ে শিশুরা দ্রুত কথা বলতে শেখে। কিন্তু যদি কোনো শিশু ১৮ থেকে ২০ মাস পার হওয়ার পরও দিনে ১০টির কম শব্দ বলে বা ২১ থেকে ৩০ মাস পার হওয়ার পর দিনে ৫০টিরও কম শব্দ ব্যবহার করে, তাহলে তাদের ‘লেইট টকিং চিলড্রেন’।

শিশু যখন থেকে কথা বলার চেষ্টা করা শুরু করবে, ঐ সময় পরিবারের সকলকেই শিশুকে বেশি সময় দিতে হবে। শিশুর আধো আধো বুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মা-বাবা এবং পরিবারে যদি অন্য কোনো সদস্য থাকে তাদেরকেও তার সঙ্গে অনেক কথা বলতে হবে। স্পষ্ট এবং শুদ্ধ উচ্চারণে যতটা সম্ভব।

কথা না বলতে পারা, বা ভুলভাবে বলার জন্য শিশুকে ধমক দেয়া যাবে না। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়। শিশুর কথা বলা শেখার জন্য তার সঙ্গে বেশি করে কথা বলার কোনো বিকল্প নেই। শিশুকে বারবার শোনাতে হবে নানা ধরণের ছড়া বা ঘুমপাড়ানি গান। একসময় সে হয়তো নিজের মতো করেই ওগুলো বলতে চেষ্টা করবে।

শিশু কোনো কথা ঠিকভাবে বলতে না পারলে নিজের মতো করেই উচ্চারণ করে। এতে বাড়ির মানুষেরা অনেক সময় খুশি হয়ে থাকেন। এবং সবাই দেখা যায় আদরের শিশুটির সাথে তাল মিলিয়ে ভুল উচ্চারণেই শব্দগুলো উচ্চারণ করতে থাকেন। কিন্তু এতে করে ক্ষতিটা শিশুরই হয়। সে ভুল বললে বড়রা সেটা অবশ্যই ঠিক করে বলবে যেন শিশুটি শুনতে শুনতে ঠিক করে বলে।

শিশুকে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চেনাতে হবে। বিভিন্ন রঙিন বই নিয়ে বইয়ের ছবিগুলোর নাম স্পষ্ট উচ্চারণে বলতে হবে। তাহলে শিশু শুনে শুনে দ্রুত কথা বলা শিখবে। কারণ, শিশুরা শুনে শুনেই কথা বলা শেখে।

শিশুরা খেলতে খেলতেও অনেক কিছু শেখে। সঠিক খেলনা বাছাই করাও কিন্তু কথা বলা শেখানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খেলনাগুলোর কোনটা কি রঙ সেগুলো বারবার শিশুকে বলবেন।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।