ঠোঁটের যত্নে করণীয়
শীত একটু একটু করে জেঁকে বসতে শরু করেছে প্রকৃতির কোলে। এ সময়ে আমাদের পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ায় আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ত্বক ও চুলের সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁটের সমস্যা এ সময়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ সময় ঠোঁটের চামড়া পাতলা ও শুষ্ক হয়ে যায়। কিন্তু একটু সময় নিয়ে আপনার ঠোঁট সুন্দর রাখতে চাইলে এটুকু যত্ন আপনাকে নিতেই হবে।
আরও পড়ুন : ত্বকের জন্য বাড়তি যত্ন
একটু সময় নিয়ে ঠোঁটের যত্ন নিন। প্রথমে একটু আলমণ্ড অয়েল ঠোঁটে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। হাতের কাছে আলমণ্ড অয়েল না থাকলে দুই ফোঁটা নারকেল তেল এক-দুই ফোঁটা কেস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। আপনার ঠোঁট ভেজা টাওয়াল দিয়ে মুছে নিন। এরপর ওই তেলের মিশ্রণ আঙুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ধীরে ধীরে দু-তিন মিনিট পর আপনার ঠোঁট নরম হয়ে আসবে। এরপর আঙুলের ডগায় একটু লবণ লাগিয়ে ঠোঁটে সার্কেল এন্টি সার্কেল করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ভেজা রুমাল দিয়ে ঘষে ঘষে ঠোঁট মুছে ফেলুন। তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে আপনার ঠোঁটের ডেড সেল ঝরে পড়ে ঠোঁট মসৃণ হয়ে যাবে। এভাবে প্রতিদিন একবার করে যত্ন নিন আপনার ঠোঁট আর শুষ্ক হবে না।
আরও পড়ুন: শুষ্ক চুলের যত্ন
এ সময় বাজারে বিট-রুট কিনতে পাওয়া যায়, বিট-রুট কেটে টুকরো টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিয়ে তাকে মিশিয়ে পরিমাণ মতো ব্রাউন সুগার ১ চা চামচ বিটের রস হলে হাফ চা চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে মসৃণ দিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন সার্কেল মুভমেন্টে ২-৩ মিনিট। এভাবে প্রতিদিন করতে পারেন বিটের রস একবার করে ফ্রিজে রেখে এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন। এই এক সপ্তাহে ব্যবহারেই আপনার ঠোঁট হয়ে উঠবে সুন্দর। শুষ্কতাও থাকবে না। আর শেষ ধাপে রাতে শোয়ার আগে প্রতিদিন আলমণ্ড অয়েল ম্যাসাজ করে ভেজা রুমাল দিয়ে মুছে ফেলুন। এভাবে যত্ন নিলেই এ সময় ঠোঁটের সমস্যা আপনাকে আর বিরক্ত করবে না।
এইচএন/জেআইএম