হার্ট অ্যাটাক হলে বুঝবেন যেসব লক্ষণে, তৎক্ষণাৎ যা করবেন

হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। যে কোনো বয়সী মানুষ যে কোনো মুহূর্তে আক্রান্ত হতে পারেন হার্ট অ্যাটাকে। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদযন্ত্রে রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। তবে সব সময় বুকে ব্যথা হলেই যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বুঝবেন তা কিন্তু নয়।
অনেকের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা নাও থাকতে পারে। কিছু কম পরিচিত লক্ষণও আছে, যা তাৎক্ষণিক হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের আগে একজন ব্যক্তির মুখ ও ত্বক ফ্যাকাশে, ধূসর ও ঘর্মাক্ত দেখাতে পারে। বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উদ্বিগ্ন ও মাথা ঘোরার অনুভূতিরও সৃষ্টি হয় হার্ট অ্যাটাকের আগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে পুরুষরা প্রধানত বুকে ব্যথা অনুভব করে। অন্যদিকে নারীদের বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন- শ্বাসকষ্ট, অসুস্থতা বা ঘাড় ও চোয়ালে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।
এছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে হালকা গ্যাস্ট্রিক বা অদ্ভুত বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ অনুভব করতে পারেন। হালকা মাথাব্যথা, অকারণে ঠান্ডা ঘাম, চোয়াল, ঘাড় বা বাম হাতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। এ সবই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণের সঙ্গে যুক্ত।
হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত যা করবেন
আপনার বা অন্য যে কারো হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই স্থানীয় জরুরি নম্বরে কল করুন। হার্ট অ্যাটাকের কোনো উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না। কোনো বিকল্প না থাকলে নিজেই দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান কিংবা কোনো গাড়িতে উঠে চালককে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিতে বলুন।
জরুরি সাহায্য চাওয়ার পরপরই একটি অ্যাসপিরিনজাতীয় ওষুধ খেয়ে নিন। অ্যাসপিরিন রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাকের সময় অ্যাসপিরিন খেলে হার্টের ক্ষতি অনেকটা কমে। যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে অ্যাসপিরিন খাওয়া যাবে না।
যদি কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে দ্রুত তাকে সিপিআর দিন, তাহলে তার প্রাণ বাঁচবে। যদি তিনি শ্বাস না নেন কিংবা পালস খুঁজে না পান তাহলে শরীরের রক্ত প্রবাহিত রাখতে সিপিআর দিন বারবার।
ব্যক্তির বুকের মাঝখানে জোরে ও দ্রুত ধাক্কা দিন। প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০-১২০ কম্প্রেশন হতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখুন। এই কয়েকটি উপায় অনুসরণ করে আপনি নিজের এমনকি অন্যের জীবনও বাঁচাতে পারেন।
সূত্র: মায়োক্লিনিক
কেএসকে/জেআইএম