বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গৃহীত পদক্ষেপের সঠিক কোনো তথ্য নেই দুই সিটির


প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ১৯ মে ২০১৬

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দুই সিটির বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে, পয়নিষ্কাষণ, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব বিল্ডিং, সুইপার প্যাসেসসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার কোনো সঠিত তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দুই সিটির পক্ষে আইনজীবী মো. তৌফিক ইনাম প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এদিন আদালতের শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির, তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

‘অব্যবস্থাপনায় ময়লার ভাগাড় ঢাকা’ শিরোনামে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির বর্জ্য ব্যবস্থানায় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেন। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও কোনো জবাব না পাওয়ায় ওই আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে তিন মাসের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে দুই সিটি কর্পোরেশন।

আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির বলেন, এটি একটি আংশিক প্রতিবেদন। দুই সিটির কোন প্রতিবেদনইে হাসপাতালের বর্জ্য ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। পয়নিষ্কাষণ, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব বিল্ডিং, সুইপার প্যাসেসসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই।

প্রতিবেদনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন জানায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩৩টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রতিটির আয়তন দুই হাজার বর্গফুট। আরো ২৩টির কাজ প্রক্রিয়াধীন। এক হাজার ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে।

দক্ষিণ সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্নতা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল সাতটার মধ্যে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে বলা হয়েছে। সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ময়লা ফেলার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিন হাজার ৬০টি ডাস্টবিন স্বল্প দূরত্বে স্থাপন করা হয়ৈছে। আরো ৫৭০০টি স্থাপনের কাজ চলছে।

এফএইচ/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।