জুলাই অভ্যুত্থান

আসামি ধরতে অসহযোগিতা, ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও আসামি গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অসহযোগিতার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই আসামির বিষয়ে শুনানিতে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে কেউ অসহযোগিতা করলে তা ট্রাইব্যুনালে আবেদন আকারে জানাতে প্রসিকিউশনকে নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে ইমাম হাসান তাইম হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনে জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে, প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়ায় প্রসিকিউশন পক্ষে দুই মাসের সময়ের আবেদন করা হয়। এদিন এ মামলার অন্যতম আসামি পুলিশের ওয়ারী জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার তানজিল আহমেদ ও যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসানকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

প্রসিকিউশনপক্ষে আজ শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ। এসময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি ও আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চান।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এসময় প্রসিকিউটর সুলতান ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করেন, এ মামলায় ছয়জন আসামির মধ্যে দুজন গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এজন্য সময়ের আর্জি জানান তিনি। আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না।

প্রসিকিউটরকে উদ্দেশ্যে করে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বলেন, তদন্ত দলের কোনো সমস্যা আছে কি না। আপনারা কি কোনো সহযোগিতা পাচ্ছে না। জবাবে প্রসিকিউটর সুলতান বলেন, না কোনো সমস্যা নেই।

ট্রাইব্যুনাল এ সময় দুই মাস সময় দিয়ে বলেন, যদি এসময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামি গ্রেফতার না হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এসময় প্রসিকিউটরদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোনো সমস্যা থাকলে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করেন। কর্তৃপক্ষকে বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

প্রসিকিউটর সুলতান বলেন, একজন আসামিকে (পুলিশ কর্মকর্তা) গ্রেফতার করতে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো সহযোগিতা করেননি।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামিকে কে ধরবে? তাহলে কীভাবে বিচার হবে? যারা কাজ করবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনালকে আবেদন আকারে জানান। সরকারকে জানান। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, কি তদন্ত হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। সরকারকে বলেন, ব্যবস্থা নিতে। আদালত বলেন, ১০০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কতজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে? এসময় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ৩৫ জন। আদালত বলেন, এতবড় একটি ঘটনা। প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গেছেন। সেখানে মাত্র ৩৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শুনানি নিয়ে ট্রাইব্যুনাল কি কারণে আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না তার কারণ উল্লেখ করে প্রসিকিউশনকে একটি আবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

এফএইচ/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।