জুলাই-আগস্ট গণহত্যা

সাবেক এডিসি মইনুলসহ পুলিশের ৩ সদস্য কারাগারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মিরপুর বিভাগের সাবেক এডিসি এম এম মইনুল ইসলামসহ পুলিশের তিন সদস্যকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অন্য দুই আসামি হলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. আরশাদ হোসেন ও রামপুরায় একটি ভবনের ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় আলোচিত পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এ আদেশ দেন।

শুনানিতে শাহবাগ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) মোহাম্মদ আরশাদ হোসেনের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত। আর বাকি দুইজনের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৪ মে দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম। এ সময় প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান তরফদার, অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার মইনুল করিম ও অ্যাডভোকেট সাইমুম রেজা উপস্থিত ছিলেন।

আদেশের পর প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিএম সুলতান মাহমুদ ও প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানী ঢাকার চানখারপুল এলাকার ঘটনায় শাহবাগ থানার তৎকালীন ওসি অপারেশনস মোহাম্মদ আরশাদ হোসেন, মিরপুরের ঘটনায় এডিসি মইনুল ইসলাম এবং রামপুরার ঘটনায় এসআই চঞ্চল কুমারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইবুনাল।

এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পুলিশের ছয়জন কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তার ভিত্তিতে আজ তিনজনকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পরে সাংবাদিকদের গাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁর পুলে একজন ছাত্রকে মুখ চেপে ধরার ছবি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন আরশাদ। আর রাজধানীর রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরকে বারবার গুলি করা হচ্ছিল। সেই গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের মামলায় ৩০ জনের মতো আসামি কারাগারে আছেন। আর ট্রাইব্যুনাল ১০৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এডিসি মইনুল মিরপুরের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় মিরপুরে অনেক অপরাধ হয়েছে। সেসব অপরাধে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার পুলিশের সাবেক এসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিরপুরের সাবেক এডিসি এম এম মইনুল ইসলাম ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরশাদ হোসেনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এফএইচ/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।