নওগাঁর পিপিকে হাইকোর্ট
গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, দায়িত্বশীল আচরণ করতে শিখুন
নওগাঁর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু জাইদ মো. রফিকুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। এ পদে থেকে অপেশাদার আচরণ করবেন না। দায়িত্বশীল আচরণ করতে শিখুন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
এর আগে আদালত ঘেরাওয়ের হুমকি এবং নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলামকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন পিপি আবু জাইদ মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের আচরণ করবে না। তবে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেননি। এ মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। তাকে ওই দিন আবারও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সকালে হাইকোর্টের একই বেঞ্চে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর আদালত ঘেরাওয়ের হুমকি এবং নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলামকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে পিপি আবু জাইদ মো. রফিকুল ইসলামকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুলসহ এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর পাবলিক প্রসিকিউটর, নওগাঁ কর্তৃক প্রকাশ্যে নওগাঁ ম্যাজিস্ট্রেটি তথা বিচার বিভাগ নিয়ে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রসঙ্গে’ শীর্ষক একটি আবেদন পাঠান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম। এতে প্রতি স্বাক্ষর করেন ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হলে আদালত অবমাননা সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুসারে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে আদালত আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি ওইদিন জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর ‘বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর, নওগাঁ কর্তৃক প্রকাশ্যে নওগাঁ ম্যাজিস্ট্রেট তথা বিচার বিভাগ নিয়ে আদালত অবমাননাকর বক্তব্য প্রসঙ্গে’ শীর্ষক একটি আবেদন পাঠান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম। এতে সই করেন সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হলে আদালত অবমাননা সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুসারে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে আদালত আদেশ দেন।
এফএইচ/এমএএইচ/