বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: পিএসসির দুই কর্মচারী রিমান্ডে
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেফতার পিএসসির বিজ্ঞান শাখার অফিস সহকারী মো. আব্দুল আজিম ও পিএসসির পরিচ্ছন্নতা কর্মী রুপন চন্দ্র দাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ের বিপিএসসি প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, বিপিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরদিন গত ১৮ ডিসেম্বর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার পর এখন পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক আয়োজিত পরীক্ষার নাম- বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বাংলাদেশ রেলওয়ে), পদের নাম- সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন ক্যাডার) এর নিয়োগ পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে পরীক্ষার হুবহু প্রশ্নপত্র ফাঁস করে একদল সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন ক্যাডার) পদে নিয়োগ প্রার্থী পরীক্ষার্থীর নিকট অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর বিতরণ করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন সময়ে বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের পূর্বে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে মামলার উল্লেখ করা হয়েছে।
এমএএস/এমআইএইচএস