আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগে সাবেক এক এমপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির এবং আগামী ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন
- পুলিশের গাড়িতেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় মরদেহগুলো
- ছাত্র হত্যার পর লাশে আগুন: শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এর আগে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত সবুরের ভাই এবং সজলের মায়ের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আনুমানিক বিকেল ৪টা বা সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়া থানার পুলিশ সদস্য এবং ঢাকা ডিবি উত্তরের সদস্যরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের আদেশে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূলের হীন উদ্দেশে বিজয় উল্লাসরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আস-সাবুর, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, সাজ্জাদ হোসেন সজল ও বায়েজিদকে হত্যা করে এবং আশুলিয়া থানার সামনেই পুলিশ ভ্যানে নিহতদের মরদেহ পুড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। যা গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।
এফএইচ/এসআইটি/জেআইএম