অভিযোগ সংক্রান্ত প্রাণিকল্যাণ আইন নিয়ে হাইকোর্টে রুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোনো আদালত এই আইনের অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করবেন না- ২০১৯ সালের প্রাণিকল্যাণ আইনের এমন বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে আইনের ১৮ ধারার (সঙ্গে ২ ধারার ৪ উপধারা) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.তৌফিকুল ইসলাম খান।

আইনের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ব্যতীত, কোনো আদালত এই আইনের অধীন কৃত কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবেন না।

আরও পড়ুন

আর ২ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কর্তৃপক্ষ’ অর্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উক্ত অধিদপ্তরের কোনো ভেটেরিনারি সার্জন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আইনজীবী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ শুধু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দায়ের করবে- এমন বিধান করে সব নাগরিকের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। কারণ আমরা প্রায়ই দেখি-বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রাণী মারা হচ্ছে, কিন্তু সেগুলোর বিচার হচ্ছে না।

কারণ কোনো নাগরিক অভিযোগ দিলে সেটা আদালত বিচারের জন্য গ্রহণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কি না তার নজির এখনো দেখিনি। তাই এটা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এ কারণে আইনের এমন বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি। আদালত রুল দিয়েছেন তিন সপ্তাহের। আইনসচিব, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটে এ আইনজীবী বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কুকুর ও বিড়াল মারার বিভিন্ন সংবাদ যুক্ত করেছেন।

এফএইচ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।