মিতু হত্যা

আজই মুক্তি পেতে পারেন বাবুল আক্তার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তিনি আজই কারামুক্ত হবেন বলে জানান আক্তারের আইনজীবী।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক এর চেম্বার জজ আদালত নো অর্ডার আদেশ দেন।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম মাহবুবুল ইসলাম। আর বাবুল আক্তারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।

এর আগে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাবুল আক্তারকে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আইনজীবী শিশির মনির জানান, হাইকোর্ট বিভাগ তাকে জামিন দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিতুর বাবা একটি আপিল দায়ের করেন। আপিলটি আজ শুনানি হয়। শুনানি শেষে চেম্বার জজ আদালত তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ‘নো অর্ডার’ (হাইকোর্টের আদেশ বহাল) করেছেন। ফলে বাবুল আক্তারের জেল থেকে বের হতে আর কোনো বাধা থাকল না। আমরা আশা করি আজই তিনি জেল থেকে মুক্তি পাবেন কিছুক্ষণের মধ্যে।

গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।

আসামিরা হলেন, বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।

অভিযোগ গঠনের দিন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে আসামি বাবুল আক্তার হত্যা করেন। বাবুল আক্তার যখন ঢাকায় ছিলেন, তখন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১ এবং ১০৯ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে দুই হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ অভিযোগপত্র একই বছরের ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মামলার বাদী ছিলেন তার স্বামী বাবুল আক্তার। তদন্তের পর আসামি হন তিনি।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।