ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। একই সঙ্গে তারা চট্টগ্রাম বারের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, দেশ যখন গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করছে। কিছু করতে না পেরে তারা ইসকনকে লেলিয়ে দিয়েছে।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পূর্বাচলে ইসকনকে দুই বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বরাদ্দ বাতিল করতে হবে।

ইসকনকে মৌলবাদী সংগঠন আখ্যা দিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, এর কে কোথায় রয়েছেন, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে আগামী রোববার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ইসকনের ওপর ভর করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আইনজীবী সাইফুল হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা ইসকনের সদস্য। তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, রহুল কুদ্দুস কাজল, মনির হোসেন, জামিল আক্তার এলাহী, এ এস এম মোক্তার কবির খান, ইউসুফ আলী, সাইফুর রহমান, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, রাগীব রউফ চৌধুরী, মোহামদ আল, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান খান প্রমুখ।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা।

একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল নিহত হন। তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিক্ষোভকারীরা এই আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

এফএইচ/এসআইটি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।