চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণা: ঢামেকে গ্রেফতার পাপিয়া কারাগারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার সেজে প্রতারণার মাধ্যমে রোগীর কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার মোছা. পাপিয়া আক্তার স্বর্ণাকে (২২) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাব-ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামি ২৮ সপ্তাহের গর্ভবতী হওয়ায় তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বাদী নুর আলম উল্লেখ করেন, গত ১৩ নভেম্বর আমার স্ত্রীর টিউমারের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে আসি। হাসপাতালে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণার (২২) সঙ্গে দেখা হলে তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। তিনি টিউমারের অপারেশন বাবদ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। তার পোশাক ও বাহ্যিক বেশ দেখে তাকে ডাক্তার মনে হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তাকে ২৮ হাজার টাকা দেই।

এরপর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় স্বর্ণা আমাদের ভর্তি করান। কিন্তু ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের চিকিৎসা হয়নি। এদিন আমাদের কাছ আরও ২ হাজার টাকা নেওয়ার সময় ডিউটি ডাক্তার দেখে ফেলেন।

টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমি সব ঘটনা বলি। তারা জানান পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা কোনো ডাক্তার না। আমি প্রতারণার স্বীকার হয়েছি বুঝতে পেরে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা পুলিশে খবর দেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ পাপিয়াকে আটক করে।

এ ঘটনায় রোববার (১৭ নভেম্বর) শাহবাগ থানায় ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন নুর আলম।

জেএ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।