বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম লিটন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চাওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।
রিটের বিবাদীরা হলেন, পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন:
- বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে, বকেয়া পরিশোধ চায় আদানি গ্রুপ
- আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি: অনিয়ম খুঁজতে এনবিআরের কমিটি
- বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশের বেশি কমিয়েছে আদানি
এর আগে বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী। গত ৬ নভেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে তিনদিনের মধ্যে চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়া করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি।
এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যালোচনা কমিটির সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসব তথ্য-উপাত্ত ও নথি কমিটিকে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এফএইচ/এসএনআর/এএসএম