তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা পৃথক চারটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। মামলাগুলো হলো- ধানমন্ডি থানার একটি এবং গুলশান থানার তিনটি।
মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (২৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে আজ তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।এছাড়া ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহমুদুল আবেদীন স্বপন, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ্, অ্যাডভোকেট মো. রুকুনুজ্জামান সুজা, অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান আসাদ, ব্যারিস্টার সানজিদা সিদ্দিকীসহ বিএনপির আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ২০০৭ সালের ৮ মার্চ এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গুলশান থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন আজম আহমেদ।
২০০৭ সালের ২৭ মার্চ এক কোটি ৩২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গুলশান থানায় তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন রেজা কনস্ট্রাকশনের এমডি আফতাব উদ্দিন।
২০০৭ সালের ১ এপ্রিল ৫৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন মীর জহির হোসেন।
২০০৭ সালের ৪ মে প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এসি এল আরসির লভ্যাংশ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আজম আহমেদ নামের এক ব্যক্তি গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন।
আদেশের পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এফআইআরে তারেক রহমানের নামই নেই। বারবার তাকে রিমান্ডে নিয়েছে, টর্চার করেছে। অমানবিক নির্যাতন করেছে। আদালত রুল মঞ্জুর করেছেন। মানে এ চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ২০০৪ সালের ঘটনায় ২০০৭ সালে এসব মামলা হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে তারেক রহমানের আবেদনে মামলাগুলো স্থগিত করে রুল জারি করেন। আজ আদালতে সেই রুল শুনানি হয়েছে। আদালত রুল মঞ্জুর করেছেন। তার মানে মামলাগুলোর আর অস্তিত্ব থাকলো না। এছাড়া আরেক মামলায় তার জামিনের রুলও মঞ্জুর করা হয়েছে।
এফএইচ/জেএইচ/বিএ/এএসএম