বিএনপিকর্মী হৃদয় হত্যা

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ ৬ দিনের রিমান্ডে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিএনপিকর্মী হৃদয় আহম্মেদকে (১৬) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন তার জামিন না মঞ্জুর করে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার এ মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপির কর্মী হৃদয় আহম্মেদ মারা যায়। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ভিকটিম হৃদয় আহম্মেদ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী একজন বাংলাদেশি নাগরিক। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে হৃদয় বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অংশগ্রহণ করে।

আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিসহ ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী নিহত হন, অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন।

আসামিরা আন্দোলনবিরোধী স্লোগান দেন। আসামিরা গুলি করতে থাকায় বাদী আত্মরক্ষার্থে পাশের গলির এক বিল্ডিংয়ে ভেতরে ঢুকে আশ্রয় নেয়। ওই বিল্ডিংয়ের ভেতরে থাকা অবস্থায় বাদী গুলির শব্দ ও লোকজনের চিৎকারের আওয়াজে ভীত হয়ে পড়ে। কিছু সময় পর গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে বাদী বাইরে এসে বাদীর সঙ্গীয় ভিকটিম মৃত হৃদয় আহম্মেদকে খুঁজতে থাকে।

দীর্ঘ সময় খুঁজাখুঁজি করে না পাওয়ার একপর্যায়ে লোক মুখে জানতে পারে আসামিদের গুলিতে ও আক্রমণে বহু লোক হতাহত হয়েছেন এবং কিছু লোকদের আফতাবনগর মেইন রোডে অবস্থিত নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। বাদী বিকেল ৪টায় ওই হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম হৃদয় আহম্মেদকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

জেএ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।