ট্রাইব্যুনালে ১২ জনকে গুমের অভিযোগ, দুজন ফিরে এসেছেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গুম হওয়া ১২ জনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৃথক ১১টি অভিযোগের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। ১২ জনের মধ্যে দুইজন ফিরে এসেছেন। ১০ জনের খোঁজ নেই।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় ফিরে আসা দুই ব্যক্তিসহ অন্য ১০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গুম হওয়া ১২ জনের বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। তাদের মধ্যে দুইজন ফিরে এসেছেন। ১০ জন এখনো ফিরে আসেননি।

তিনি বলেন, আমিনুল ইসলাম ও আনিসুর রহমান নামের দুইজন ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর র‌্যাব কর্তৃক অপহৃত হন। মুন্সিগঞ্জ থেকে সোহেল মিয়াজী ২০১৪ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন। ২০১১ সালের ১০ জুলাই বনানী থেকে আব্দুল্লাহ নিখোঁজ হয়ে যান। একই বছরের ৩ ডিসেম্বর ইকবাল হোসেনকে আগারগাঁও থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে যায়। আইনুল ইসলামকে মদনপুর চৌরাস্তা থেকে ২০২০ সালের ৪ জুলাই উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মোহাম্মদ সাজুকে মোহাম্মদপুর থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কুদ্দুসুর রহমান চৌধুরীকে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর মিরপুর-১ থেকে তুলে নেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল মো. কাইয়ুমকে গাবতলী থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। ভাসানটেক থেকে মো. মোস্তফাকে ২০২০ সালের ৬ জুন উঠিয়ে নেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তাদের স্বজনরা জানেন না তারা কোথায় আছেন। জীবিত নাকি মৃত।

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬৪ ঘটনার তালিকা দেওয়া হয়েছে। এগুলো গ্রহণ করেছি। যাচাই-বাছাই করে পর্যালোচনা করবো। বেশির ভাগ অভিযোগে তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অভিযুক্ত করেছেন। ওই সংগঠনের আহ্বায়ক বেলাল হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর উঠিয়ে নেওয়া হয়। পরে একই সালের ২ নভেম্বর তাকে একটা জায়াগা ফেলে দেওয়া হয়। তিনিও ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ছয় মাস তিন দিন গুম করে রাখার অভিযোগে আইনজীবী সোহেল রানাও ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন।

এফএইচ/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।