ঢাবি-জাবিতে পিটিয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি ব্লাস্টের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৯ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
চোর সন্দেহে ঢাবিতে তোফাজ্জল এবং জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়/ ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে সম্প্রতি পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সামাজিক প্রচারমাধ্যম ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃবিভাগ খেলার সময় একটি ব্যাগে থাকা ৬টি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। ওইদিন রাত ৮টার দিকে বহিরাগত তোফাজ্জল হলের ভেতরে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ দেখে শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী তাকে মারধর করে হত্যা করেন।

এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সাবেক ছাত্রনেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।

এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘন এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। কোনো নাগরিকের প্রতি এ ধরনের আচরণ বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত অনুচ্ছেদ ২৮(১), ২৮(৪), ৩২ এ অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশেষভাবে বাংলাদেশের সংবিধানে ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি দণ্ডবিধির ধারা-৩২৩ ও ৩২৫ ধারায় কোনো ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় আঘাত করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে।

এ অবস্থায় এমন গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঘটনা তদন্ত পূর্বক আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় ব্লাস্ট।

এফএইচ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।