এস আলম গ্রুপের অর্থপাচার: অনুসন্ধানের অগ্রগতির তথ্য চান হাইকোর্ট

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তার স্ত্রী, মেয়ের স্বামী ও আত্মীয়সহ তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অগ্রগতি বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী রোববারের (২৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে দুদককে এ বিষয়ে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
- আরও পড়ুন
- এস আলম গ্রুপের তথ্য চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা
- ইসলামী ব্যাংকের ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে এস আলম
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুকুনুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
পরে শাহীন আহমেদ জানান, দুদকের পক্ষ থেকে এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারের যে ব্যাপারগুলো আসছে তা নিয়ে দুদক অলরেডি অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটি কোন পর্যায়ে আছে সে তথ্যগুলো এখনো হাতে পাইনি।
এসব তথ্য সংগ্রহের জন্য সময় আবেদন করা হলে এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিটটি রোববার পর্যন্ত মুলতবি রেখে দুদককে এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারের অভিযোগের ওপর কী অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে তার সব তথ্য ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত সপ্তাহে এ সংক্রান্ত রিটটি করেন আইনজীবী রুকুনুজ্জামান। রিটে এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোম্পানির পরিচালকসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
আইনজীবী রুকুনুজ্জামান জানান, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত এস আলম গ্রুপের নেওয়া ঋণের পরিমাণ, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ এবং স্থাবর সম্পত্তির তালিকা এবং সম্পতি ক্রোকের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। একই সঙ্গে কোম্পানির পরিচালকসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস