শহীদ ফাহমিনের মা

শেখ হাসিনা সন্তান হারানোর ব্যথা বোঝেন না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শেখ ফাহমিন জাফর

‘শেখ হাসিনা বলতেন যে স্বজন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি। তিনি স্বজন হারানোর ব্যাথা বুঝলেও সন্তান হারানোর ব্যথা বুঝেন না। যদি বুঝতেন তাহলে আমার সন্তানের মতো শত শত মায়ের সন্তানকে গুলি করে মারার কথা বলতেন না। আমি তার সন্তান হারানোর কথা বলবো না। কিন্তু তার সঠিক ও ন্যায় বিচার চাই’ অশ্রুসিক্ত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ফাহমিনের মা কাজী লুলুল মাখমিন শিল্পী।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করার পর সংবাদ বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম ও আইনজীবী জামাল উদ্দিন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানী উত্তরায় নিহত হন শেখ ফাহমিন জাফর। সে ছোটবেলা থেকে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। সে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর ভর্তি হয় টঙ্গী সরকারি কলেজে।

শহীদ ফাহমিনের মা কাজী লুলুল মাখমিন শিল্পী বলেন, আমার ছেলে অনেক মেধাবী ছিল। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় অষ্টম হয়েছিল। তার ঢাকায় পড়ালেখা করার ইচ্ছে ছিল বলে আমরা তাকে টঙ্গী কলেজে ভর্তি করে ঢাকায় এসেছিলাম। আমার পরিবারের সবার স্বপ্ন পুলিশের হাতেই শেষ হয়ে গেলো। সে দিন বিক্ষোভ শুরু হলে শেখ ফাহমিন তার বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। সে বাড়ি ফিরছে। বাবা আবু জাফরের সঙ্গে ১৮ জুলাই এটিই ছিল তার শেষ কথা।

শিল্পী বলেন, ফাহমিন ছোটবেলা থেকেই সৎ ও সাহসী ছিল। সে পরিবারের মধ্যেও কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেনি। ফাহমিনের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিতে চরম বাধা ও বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

১৯ জুলাই পরিবারের সদস্যরা ফাহমিনকে তাদের নিজ গ্রাম নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তারাটিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করেন। এ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৬ কে আসামি করা হয়েছে।

এফএইচ/এসআইটি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।